‘কবিগুরু’ নাই রে ধরায়,
তাই তো জীবন স্বপ্ন জাগায়:
হতে নব-কবিগুরু,
এইত লেখা করছি শুরু।


এই কলম আর থামবে না রে,
হোক না ক্লেশ ঘামবে না রে;
কলম-খাতায় রেখে জীবন,
পাড়ি দিব রঙিন ভুবন;
যেই জীবনের প্রতি কণা,
বাঁধব দিয়ে খাঁটি সোনা।


লেখায় করে জনম সাধন,
জীবন এমন দিব বাঁধন-
ছিড়বে না রে যেই প্রীতি-ডোর,
মুছবে না রে ভূ-স্মৃতি মোর।


জীবন নদীর লক্ষ্য-তীরে,
এগিয়ে যাব ধীরে-ধীরে;
প্রভু তুমি থেকো সহায়,
নেই তবে মোর কোনোই ভয়;
লিখব ন্যায়ের পক্ষ নিয়ে,
জীবন তাতে যাব দিয়ে।


সাহিত্যেরই প্রতি শাখায়-
যেতে কলম স্বপ্ন দেখায়,
তাই তো আমি সেই স্বপ্ন,
কার্যকর করিতে মগ্ন।


হেন লেখা লিখব আমি-
ছড়িয়ে দিব জগতযামী;
লিখব আমি পাহাড় সমান,
মেঘ ছাড়িয়ে ছোঁব আসমান;
নভস্থলও ছাড়িয়ে যাব,
গোটা গ্রহ কাঁপিয়ে দিব।


বইয়ের পাতায় তুলব রে ঝড়,
বাঁধব সেথায় বসতি ঘর;
সর্বোর্ধ্বের হব আমি,
সাহিত্যেরই অগ্রগামী।


সেই তাড়নায় মন বাসনায়
ছুটছে কলম কাব্য-মোহনায়,
আর ছুটছি আমি গন্তব্যে,
থামব না বিরূপ মন্তব্যে;
শৈশব হতেই স্বপ্ন শুরু,
হব যুগের নব-কবিগুরু।


রচিত: ২৪, মার্চ, ২০১৪- নিজ ভবন, বংকুরা, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।
(১৩ বছর বয়সে শিশুমনে লেখা।)