সুন্দরবন থেকে বেরিয়ে একটি বাঘ
রাস্তায় নেমেছে। বাংলার রাজকীয় বাঘ!

দেখতে কি সুন্দর!
সাদাকালো ডোরাকাটা পেশীবহুল বলশালী।
দেখলেই জড়িয়ে ধরে আদর করতে ইচ্ছে হয়।
কিন্তু ভয়ও হয়।

বাঘ দেখতে সুন্দরবনে যায় মানুষ।
এখন মানুষ দেখতে বাঘ আসছে
বন থেকে শহরে নগরে।
দিনকাল বদলাচ্ছে।

বিস্ফারিত চোখমুখ, মানুষ দেখছে বাঘটিকে।
মনের মধ্যে একরাশ ভয় আর আনন্দ
মিলেমিশে একাকার।

দিনে দিনে কেটে সাফ হচ্ছে জঙ্গল
মানুষ ঘরবাড়ি বানাচ্ছে
চপলমতি হরিণ শিকার হচ্ছে
কি নিখুঁত নির্মমতা!
বনভোজন জমে উঠেছে হরিণের মাংসের স্বাদে।

পশুপাখি নিধনেভক্ষণে রসনাতৃপ্তি।
ঋগ্বেদের কাল থেকেই এই ট্রাডিশন
সমানেই চলছে।

শহরে এমনিতে তো খাল কেটে অনেক কুমীর আনা হয়েছে। টাকার কুমীর।
এখন জাল কেটে বাঘ আনা হচ্ছে।

বাঘ দেখছে
বিশাল বিশাল সব কর্পোরেট হাউস।
ঝা চকচকে সব ইমারত, স্কাইস্ক্রেপার
অনলাইন শপিং।

বাঘের মনে লোভ দানা বাঁধছে।

এদিকে পাড়ায় বিশুদার মুদি দোকানে
বিক্রিবাট্টা নেই, দোকান বন্ধ।

বিশুদা এখন শপিংমলে শপারস্ স্টপে
এক কর্মচারী মাত্র।

বিশুদা সুন্দরবনের বাঘকে ভীষণ ভয় পেত।