হেমন্তের রাত,
উত্তুরে হাওয়া বইছে হিমেল স্পর্শে
চাঁদের হাসির বন‍্যা, ভাসছে ধরণী।

প্রেয়সী পাশে,
মনের গভীরে কামদগ্ধ অনন্ত প্রেম জাগে।

রাতের গভীরে তমোঘ্ন আসে
অন্ধকারের গ্লানি যায় দূরে সরে
কল্মষ পুড়ে বৈশ্বানরে।

শ্বাপদেরা নগরের বুকে ঘুরে বেড়ায়
রাস্তায় রক্তের দাগ ধীরে ধীরে কালো হয়
অজানা শঙ্কায় পাখীরা উড়ে যায়
বহুদূরে নিরাপদ আশ্রয়ে।

ঋষি জমদগ্নির চন্ডাল রাগ,
পুত্র পরশুরাম হত‍্যা করে
মাতা রেণুকাকে পরশু আঘাতে
ভালোবাসা খুন হয় নির্দয়তার যূপকাষ্ঠে।

ভালোবাসাকে কালো আলখাল্লা পড়িয়ে
বন্দী করে রেখেছে কালো শয়তানেরা
পাহাড়ের চূড়োয়।

ভালোবাসা নেই,
স্বর্গ তাই কাঁদে আজ অহর্নিশ।

প্রেমিকেরা শুনতে পাচ্ছ?
তোমরা জাগো----

চল, বেড়িয়ে পড়ি,
খোঁজ করতে হবে,
কোথায় ভালোবাসাকে বন্দী করে রাখা হয়েছে
সমুদ্রের গভীরে না পাহাড়ের চূড়োয়?

চল, বেড়িয়ে পড়ি,
ভালোবাসাকে নিয়ে আসতে হবে মুক্ত করে।