জীবন হলো আমার রসকলি
বেনারসী মিঠা পানের মত,
আহা যৌবনের উত্তালে এখন
দিবানিশি হাবুডুবু খায় কত।
স্কুল জীবন পার করেই
তারপর গেলাম বড় কলেজে,
অবুঝ মনে নানারকম উল্টো
বুদ্ধি আসে আউট নলেজে।
পড়াশোনা তো নষ্ট হলো
আরাম আয়েশ গেল লাটে,
প্রেমের কামনা জাগলো মনে
কোমল হৃদয় দুঃখে ফাটে।
কলেজের সেই ক্যাম্পাসে বসে
অবাধে কত চলতো আড্ডাবাজি,
পড়াশোনা তো ঢপের চপ
তাই শুধু মারতাম ফাঁকিবাজি।
কোন কিছুর অভাব ছিল না
করেছি নারীর সাথে প্রেম,
সফল হতে পারিনি আজও
শূন্য রয়ে গেল অন্তরের ফ্রেম।
কলেজ জীবন শেষ করে
ভাগ্যে নেমে এলো দুরাশা,
সংসার চালানোর জন্যে তখন
শুরু করলাম নতুন ব্যাবসা।
বত্রিশ বছর বয়স হলো
ছিলাম অনেক পারিবারিক চাপে,
আমার রূপের গ্লেজ নষ্ট
তেমনি হচ্ছিল ধাপে-ধাপে।
বন্ধুরা দেখলে বলতো আমায়
কবে করবে তুমি বিয়ে,
সুখের সংসার বাঁধবে কবে
সঙ্গে অর্ধাঙ্গীনি কে নিয়ে।
এদিক সেদিক খুঁজতাম কত
বিয়ে করবার জন্য নারী,
বিয়ের সম্বন্ধ ভাঙ্গলো যখন
দুটি নয়ন থেকে ঝরলো বারি।
ঘটক মশাই আসলেন বাড়ি
বিয়ের সমন্ধ পাকা করে,
এইবার বিয়ে না হলে
বোধহয় আমি যাব মরে।
মেয়ে দেখতে গেলাম আমরা
সকল বন্ধু-বান্ধব মিলে,
সফল হবে জীবন আমার
সে স্বামী রূপে মেনে নিলে।
যখন সামনে আসলো আহা
কী সুন্দর তার রূপের জাদু,
ষোল বয়সী কিশোরী যেন
হবে অসীম সাধের বধু।
দুজন দুজনকে পছন্দ করে
দিলাম শোনার আংটি পরিয়ে,
ঘোর অন্ধকার কাটলো এবার
পাকা হলো আমার বিয়ে।
ষোল বাই বত্রিশের ফরমোলা
তখন পূর্ণ হলো অবশেষে,
বিয়ে করতে গেলাম আমি
সেজে জামাই বাবুর বেশে।
সোনার টুকরো স্ত্রী আমার
নাম হলো তার মউ,
লোকে বলে আমায় দেখে
বুড়ো খোকার কচি বউ।


রচনাকালঃ- ০৮/০৮/২০১৭