আমি ত্রিভুবনের অধিপতি ঈশ্বরের গড়া অদৃষ্ট,
ভূলোক দ্যুলোক গোলকের সাথে করি খেলা।
সবার ললাটে নিজ হস্তে লিখি ভাগ্যলিপি,
আসলে আমার নেই কোন গোত্রের চিহ্ন।
অপ্রকট খেয়াপথে চলি মানবতার সূত্র ধরে,
আমি আজরাঈলের মত থাকি চির দুর্দম!


ভুলেও কখনো করি না কারো সাথে মিত্রতা,
আমি দুর্বিনীতের বিকারকে হই সদা উত্তীর্ণ।
অচলার বক্ষে মহা-প্রলয় ঘটিয়ে করি নিকুচি!
আমার সূক্ষ্ম প্রহারেও হয় না কোন স্তনন।
ন্যায়ের কুহরে আহ্বান করে গড়ি অস্তিত্ব,
বৈভবের হুকুম পেলেই হতে পারি নৃশংস!


প্রত্যহ এসে তোমাদের সাথে করি আলিঙ্গন,
আমি ক্ষৌণীর মৃত্তিকায় এক নিপট অভিশাপ!
সকলের দুয়ারে প্রদর্শন করি বিলুপ্ত চিত্র,
নিমেষে করে দিতে পারি উর্বীকে উন্মথন!
জীবনের পথে চলতে চিনে নিও আমায়,
যেভাবে তোমরা চিনতে পারো অভ্রের ঋক্ষ।


রঙিন অচলার মানব যেন বড়ই স্বার্থপর,
কেউ এসে সাজায় সর্বত্র সুখের নিবাস।
কেউ এসে জ্বালিয়ে ছারখার করে যাই!
আমি তাদেরই সাথে মিলনে হই সমবেত।
আমার হুঙ্কারে কেঁপে ওঠে ধরণীর ভূতল!
চিনে নিও আমিই তোমাদের সেই নিয়তি।


রচনাকালঃ- ১২/০৮/২০১৭