কিছু দিন পর ভিটে মাটি ছেড়ে বেরিয়ে পড়লাম পথে
নিলো আমার সর্বস্ব কেড়ে মিথ্যা দেনার দায়ে,
আজ এ জগতে সবথেকে সে বেশি চায়
আছে যার বেহিসেবি প্রচুর অর্থ আর সম্পদ।


জমিদার কেড়ে নেয় অসহায় গরিবের ধন-সম্পদ
কমবেনা কখনো লোভ লালসা আর মিথ্যাচার!
মনে মনে ভাবি আহা ঈশ্বরের এ কি মহিমা
তাইতো দুঃখের পাহাড় চাপিয়ে দিল বুকের ওপর!


নিস্ব হয়ে ভিখারির বেশে ঘুরলাম কত দেশ
কত দেখলাম বিশ্বের মানবতার করুণ দৃশ্য!
অরণ্য সমুদ্র শহর নগর যেখানে ভ্রমণ করি
স্মৃতির কথা ভুলতে পারিনা সেই ভিটে বাড়ি।


ফুটপাতে থেকে কষ্টের জীবন কাটিয়ে পাঁচ বছর পর
আবার ফিরে আসলাম আমি সেই ছেড়ে যাওয়া গ্রামে,
মাথা নত করে দুহাতে ধূলো তুলে নিয়ে
প্রাণ ভরে দেখি আমার সাধের জন্মভূমি।


গঙ্গা নদীর কূলে শীতল সমীরে গাছপালা দুলে
অফুরন্ত মাঠ দিগন্তের শেষে যেন গগন স্পর্শ করে,
বন জঙ্গলের ছায়ায় আবদ্ধ সুন্দর মোদের গ্রাম
রাখাল বালক ধেনু ছেড়ে খেলা করে শস্য ক্ষেতে।


স্তব্ধ দিঘির জলে নেই কেউ তপ্ত দুপুরে
নদীর পাড়ে গ্রামের বধুরা জল নিয়ে যায়,
বসন্তের কোকিল গাছে বসে গান গাই
বাঁশ বাগানে শোনা যায় শালিক পাখির ডাক।


তৃষ্ণার্ত কাতর হয়ে পৌছালাম নিলয়ের কাছে
জাগলো মনে অভিমান র্নিলজ্জ কুলটা জমির ওপর!
যখন যার হাতে সে থাকে তখন তার হয়
গিরগিটির মত রং বদলায় এইতো নিয়ম তার!


সবুজ আঁচল ভরে দান করতো কত শস্য
আজ কার ভরসায় সে কাটাচ্ছে ভোগবিলাসে!
তার মধ্যে সেই আগের মত নেই শান্তির আবেশ!
আজ সে'ও হয়েছে জমিদারের মত নিষ্ঠুর!


রচনাকালঃ- ১১/১২/২০১৬