আষাঢ় দ্যুলকে নীরদের গর্জন
একটু পরেই শুরু হবে বাদলের বর্ষণ,
ঝোড়ো সমীরণ উঠেছে পুবে
ধান ক্ষেত গুলো যাবে ডুবে!
চেয়ে দেখি নদীর ওপারের দিকে
জীমৃতে আঁধার জমছে ধীকে-ধীকে,
ওই ডাকে শোনো জলধর ঘন-ঘন
ধেনুদের সদনে ফিরিয়ে আনো।
বারে-বারে পথের দিকে দেখি চেয়ে
কৃষক ফিরছে ঝড়ের আশঙ্কা পেয়ে,
উঠেছে অনিলের সোঁ-সোঁ শব্দ
সারা গ্রাম যেন হয়ে গেল স্তব্ধ!
একটু পরেই নেমে আসবে তিমির
ওই প্রান্তর মাঠে অস্ত যায় মিহির,
ঘোলা অম্বুদে ছেয়ে আছে আকাশ
পুব দিক থেকে বইছে বাতাস।
কোথায় গেল রাখালের দল
কারো চলবেনা আজ বাহুবল!
পবনের তান্ডবে কাঁপবে ভূ-তল
বলাহক করছে কৌশলের ছল।
অন্তরীক্ষ থেকে নামবে বর্ষার ঢল
তরঙ্গিনীর নীর করছে টলমল!
বনানী পশুর দল ছুটছে দ্রুত পায়
খেচরের ঝাঁক কিচিমিচি গান গায়।
এখন তো গুম ধরা প্রচন্ড গ্রীষ্ম
গাঙের ধার থেকে দেখি দৃশ্য,
কালো বারিদ উঠেছে নীল গগনে
বৃষ্টির ধারা নেমে আসছে ভুবনে।
তটিনীর তীরে আঁছড়ে পড়ছে ঢেউ
তরী বন্ধ মাঝিরা ঘাটে নেই কেউ,
মুষলধারা বৃষ্টিতে হয়েছে অচল
গ্রামের পথ গুলি হয়ে গেছে পিছল।
ওই পাদপ দুলে ঘন-ঘন পথের পাশে
যেন তাদের দিকে কেউ ছুটে আসে,
রবি অস্ত গেছে এখনি আঁধার হবে
তায়দে ঢাকা অম্বর সন্ধ্যা হলো সবে।
বেশি দেরি নেই পোহাতে এ বেলা
ফিরে চলো কোরোনা অবহেলা
আজ হবেনা আসমানের নিচে ঠায়
এসো মোরা নিজ গৃহে ফিরে যায়।


রচনাকালঃ- ২১/০৬/২০১৭