আজ ধনীর আদর পেয়ে এতই গরব হচ্ছে তার
বিন্দুমাত্র নেই তার মধ্যে সেই আগের কোন চিন্ন,
করুণাময়ী ছিল সে ক্ষুধাহারা শান্তির আবেশ
বহুরূপী সেজে হেসে শান্তিতে কাটাচ্ছে দিন।


তাকে রেখেছিলাম আমি আদরে জত্নে
আহা আজ হয়ে গেছে কত অসহায়!
বেদনায় কাতর হয়ে চারিদিক ঘুরে দেখি
আলয়ের আঙিনায় এখনো আছে সেই পেয়ারা গাছ।


নয়নের জল মুছে বসলাম বৃক্ষের নিচে
তখন আমার যেন শান্ত হল মনের সব ব্যথা,
একে একে মনে পড়ে গেল বাল্য কালের স্মৃতি
নদীর ধার থেকে দেখতাম চাঁদের সোনালী আলো।


ঘুম থেকে উঠে ছুটতাম শস্য ক্ষেতের দিকে
বিকেল হলেই পাঠশালা থেকে ঘরে ফিরতাম,
আর কি ফিরে পাব সেই আগের জীবন?
আমার দূর্ভাগ্যে নিয়তি করছে যেন পরিহাস!


জোরাল বাতাসের ধাক্কায় দুলছে তরূর ডাল
দুটি পাকা পেয়ারা ওপর থেকে পড়ল আমার সম্মুখে,
মনে ভাবলাম বিধাতার দয়া হল আমার ওপর
স্নেহের পরশ পেয়ে আকাশের দিকে চেয়ে রইলাম।


তার পরে কোথা থেকে যেন আসলো পিশাচ
ক্রোধের দৃষ্টিতে ছুটে আসলো আমার কাছে!
কেঁদে বললাম আমার যা ছিল তোমরা কেড়ে নিয়েছ
দুটো পেয়ারা নিয়েছি বলে এতই হচ্ছে রাগ?


কোনো কথা না শুনে আমায় নিয়ে গেল ধরে
সেই বেইমান অত্যাচারী জমিদার বাবুর কাছে,
সব কথা শোনার পর তিনি আমাকে মারতে চায়লেন
জমিদারের থেকে বেশি রাগান্বিত হল তার দলবল।


হাতজোড় করে বললাম দুটো পেয়ারা ভিক্ষা চায়ছি দাতা
বাবু রেগে বললেন তুই-তো বেটা বড় চোর!
দুঃখে হৃদয় ফাটলো এই বুঝি ছিল ভাগ্যে
আপনি হলেন সাধু কিন্তু আজ আমি মহা চোর!


রচনাকালঃ- ১৬/১২/২০১৬