আজ সারা বিশ্বে পালন করা হচ্ছে চুম্বন দিবস।
চু্ম্বন করার সময় মেয়েরা চোখ বন্ধ করে নেয় কিন্তু কেন? মেয়েরা চুম্বন করার সময় চোখ বন্ধ করে নেয় এর বৈজ্ঞানিক কারন আছে। তাছাড়া ব্যাক্তিগত পছন্দ এর সাথে জড়িয়ে থাকে।


লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়াল হোলওয়ের মনোবৈজ্ঞানিকরা এই বিষয়ে গবেষণা করে জানিয়েছেন যে চুম্বন করার সময় আমাদের ব্রেন একদিকে ফোকাস করতে পারে। চোখ খোলা থাকলে কন্সানট্রেসান বাধাপ্রাপ্ত হয়। মাথা দুদিকে ব্যালেন্স করতে পারে না। তাই ব্রেন চোখকে কন্ট্রোল করে ও বন্ধ করিয়ে দেয়। আমদের স্পর্শেন্দ্রিয়ের অনুভুতির সাথে চোখ সব সময় যুক্ত থাকে। তাই চোখ খোলা থাকলে স্পর্শঅনুভুতিতে বাধা আসে। তাই চোখ বন্ধ করে চুম্বন নেওয়া বা দেওয়া হয়। চুম্বনের সময় ব্রেন সক্রিয় থাকে না।


ফলে কোন বিষয় বা কথা রেজিস্টার করতে সময় নেয়। ঐ সময় ব্রেন বা মাথা একটা কাজেই ফোকাস করে। তবে এক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিকদের মতামতা বিশেষ চুম্বন অর্থাত্‍ লিপকিস করার সময় এটি সাধারণত হয়। ড্যালটন হলেন একজন মনোবৈজ্ঞানিক।


তিনি গবেষণা করে জানান যে দৃষ্টিশক্তি ব্যবহার করে যখন কোন কাজ হয় তখন স্পর্শানুভূতি কমে যায়। এই জন্য মেয়েরা চোখ বন্ধ করে ফেলে। ফলে চোখ বন্ধ করলে অনুভূতি বেড়ে যায় বলে মনে করেন গবেষকরা। তাছাড়া চোখ বন্ধ করে চুম্বন করার সময় মাথা শুধুমাত্র চুম্বনে ফোকাস থাকে। ফলে চুম্বন খাওয়ার তৃপ্তি সঠিকভাবে উপলব্ধি করা যায়। চুম্বনের আমেজ বিশেষ করে লিপকিস করার আনন্দকে মেয়েরা উপভোগ করতে পারে।


ভালবাসা দিবস সপ্তাহ ......চুম্বন দিবস আজি
আমার ভালবাসার কবিতা (সপ্তম পরিচ্ছেদ)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


চুম্বন দিবস আজি পূণ্য শুভক্ষণ,
প্রীতিপূর্ণ বাক্যে কর প্রেম সম্ভাষণ,
প্রেম প্রীতি ভালবাসা করহ প্রদান,
আজিকার দিনে নাহি কর অভিমান।


ভালবাসি এ কথাটি বল শতবার,
আমি তব তুমি মম, কহ বারবার।
দিবসের শুরু হোক করিয়া চুম্বন,
সুমধুর বাক্যে তারে কর সম্বোধন।


পথেঘাটে ট্রামেবাসে মেট্রোতেই হোক,
বিদেশের স্টাইলেতে চুম্বনের ঝোঁক।
দেশের মাটিতে আজি বিদেশী চলন,
লাজ লজ্জা কিছু নাহি করিছে চুম্বন।


যুবকেরা যু্বতীরে ধরি কিস খায়,
এ কেমন ভালবাসা লাজে মরে যাই।
প্রকাশ্যে চুম্বন নাহি কর কদাচন,
কবিতায় কহে কবি শ্রীমান লক্ষ্মণ।


মনে রাখবেন:ভাল চুমু খাওয়ার কয়েকটি টিপস রইল।
১. কন্ট্রোল করুন।
ভাল চুমু খাওয়ার ক্ষেত্রে সবার প্রথমে যেই জিনিসটি রপ্ত করতে হবে, তা হল কন্ট্রোল৷ সংযত থেকে চুমু খান| বেশি উত্তেজিত হয়ে চুমু খেতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে৷ তাই সংযত হয়ে চুমু খান। এর গভীরতাতেই লুকিয়ে প্রণয়াসক্তি!


২. ঠোঁটের খেলা দেখান
চুমু পুরোপুরি ঠোঁটের খেলা৷ শরীর, সৌন্দর্য – এসবের বাইরে গিয়েও ঠোঁটের সঠিক ওঠানামাই চুমুকে পরিপূর্ণতা দান করে৷ তাই চুমু খাওয়ার সময় ঠোঁটের খেলায় নজর দিন৷


৩. প্র্যাকটিস করুন।
প্র্যাকটিসই সবকিছুকে পারফেক্ট করে তোলে৷ চুমু খাওয়ার ক্ষেত্রেও সেই এক কথাই প্রযোজ্য৷ প্রথমবার চুমু খেতে গেলে যে সমস্যা হবে, পঞ্চমবার সেই সমস্যা হবে না৷ নিজের চুমু খাওয়াকে শিল্পজ্ঞানে দেখলেই আরও রোমান্টিকভাবে পার্টনারকে চুমু খাওয়ার ইচ্ছে জাগবে আপনার৷ তাই প্রথম চুম্বনে পুরো ব্যাপারটা মনের মতো না হলেও আশাহত হবেন না| প্র্যাকটিস করে যান৷ কোন না কোন দিন ইমরান হাশমিকেও টেক্কা দিতে পারবেন৷


৪. রোমান্টিক হোন।
ঠোঁটের খেলা কিংবা শ্বাসের ওঠাপড়া এই বিষয়গুলিকে নিয়ে অতিরিক্ত ভেবে চুমু খেতে গিয়ে যদি নিজের রোমান্টিসিজম হারিয়ে ফেলেন, তবে কিন্তু মুশকিল হবে৷ তাই চুমু খাওয়ার সময় নিজের প্রেমকে জাগিয়ে রাখুন| ভালবাসা থাকলেই ভালবাসার মানুষকে আদর করার ইচ্ছে আরও তীব্র হবে৷


৫. হিংস্র হবেন না।
চুমু খাওয়া বা লিপলক মানেই ঠোঁটে কামড়ে দেওয়া নয়৷ হিংস্রতা রাফ সেক্সের প্রধান অংশ৷ এই ভেবে উত্তেজনার বশে মনের মানুষটিকে আঘাত করে বসলে কখনই নিজেকে ভাল ‘কিসার’ প্রতিপন্ন করতে পারবেন না| উল্টে আপনার হিংস্র মনোভাবই প্রকাশ পাবে৷


৬. সঠিক ভাবে শ্বাস নিন।
চুম্বনের সময় শ্বাস প্রশ্বাসের ক্ষেত্রে সচেতন থাকুন৷  ঠিক সময় শ্বাস নিন এবং ঠিক সময় শ্বাস ছাড়ুন| চুমু খাওয়ার সময় পার্টনার যাতে একইভাবে ঠিক করে শ্বাস নিতে পারে সেদিকেও নজর রাখুন৷ লম্বা একটানা চুমু খাওয়ার সময় মাঝে মধ্যে ভালবাসার কথা বলুন| এতে আদরের উত্তেজনা আরও বাড়ে৷


৭. জিভের খেলা
লিপলকের সময় জিভের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকে৷ জিভের ঠিকঠাক ওঠানামা চুমুকে পারফেক্ট করে| তাই চুমুর খেলার সময় জিভের খেলাটাও একটু বুদ্ধি করে খেলুন৷