ভালবাসার রং লাল হওয়ার নেপথ্যেও রয়েছে রক্তাক্ত এক ইতিহাস। পঞ্চম শতাব্দীর শেষের দিকে পোপ গেলাসিয়াস, ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। ইতিহাসের পাতা ঘাঁটলেই জানা যায়, সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের আত্মত্যাগের গাথা। রোমের বাসিন্দা, খ্রিষ্টধর্মের পুরোহিত ও চিকিৎসক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেই উদ্‌যাপিত হয়েছিল এই দিনটি। সে দেশে নিষিদ্ধ হওয়া খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের জন্য রোমের তৎকালীন সম্রাট রাজা দ্বিতীয়ত ক্লডিয়াস সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে কারাগারে বন্দি করার আদেশ দেন। সেখানে আটক থাকাকালীন দৃষ্টিহীন এক মহিলার চিকিৎসা করে চোখের দৃষ্টি ফিরিয়ে দেন তিনি। দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে তাঁর জয়গান। ভ্যালেন্টাইনের এই জনপ্রিয়তায় রাজা ক্লডিয়াস ক্রোধে ফেটে পড়েন এবং তাঁকে নিশ্চিহ্ন করতে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই দিনটি ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি।
তবে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন কোনও দিন ব্যক্তিপ্রেমের কথা প্রচার করেননি। ভালবাসাকে বেঁধে দেননি নারী-পুরুষের শরীরী ছন্দে। তাঁর প্রচার এবং প্রসার ছিল জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে মানবপ্রেম নিয়ে। সেই ভালবাসাই বিবর্তনের পদচিহ্ন অনুসরণ করে হয়ে একেবারে ব্যক্তিগত পরিধিতে বাঁধা পড়ে গিয়েছে।


ভালবাসা দিবস সপ্তাহ ......ভালবাসা দিবস আজি
আমার ভালবাসার কবিতা (অষ্টম পরিচ্ছেদ)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


ভালবাসা দিবসের অপূর্ব আখ্যান,
কবিতায় কহে কবি লক্ষ্মণ শ্রীমান।
আজিকার শুভদিনে প্রিয়ার পরশে,
ভালবাসা সুপ্ত হয়ে হৃদয়েতে পশে।


কুক্ষণে দ্বিতীয় বিশ্ব মহা যুদ্ধ হয়,
ভেঙে গেছে দেশজাতি কহিনু নিশ্চয়।
পাশ্চাত্য অনুসরণ করে নর-নারী,
দেশ গেছে রসাতলে ভুলিতে কি পারি?


ভালবাসা বাজারেতে হৃদয় বিক্রয়,
প্রকাশ্যে চুম্বন করে নাহি লজ্জা ভয়।
যুবক যুবতী সবে আলিঙ্গনে রত,
লজ্জায় সবার মাথা হয় অবনত।


পথেঘাটে ট্রামেবাসে মেট্রোতেই হোক,
ইউরোপিয়ান স্টাইলে চুম্বনের ঝোঁক।
দেশের মাটিতে আজি বিদেশী চলন,
লাজ লজ্জা কিছু নাহি করিছে চুম্বন।


যুবক যু্বতী সবে ধরি কিস খায়,
বলিহারী দেশ মোর লাজে মরে যাই।
যুবক যুবতী শুন আমার বচন,
প্রকাশ্যে চুম্বন নাহি কর কদাচন।


ভালবাসি এ কথাটি বলিও না আর,
ভালবাসা ছিন্ন করে সুখের সংসার।
ভালবাসা কাঁটা হয়ে যদি বিঁধে থাকে,
ভুলের মাশুল কিন্তু দিতে হয় তাকে।


ভালবাসা দিবসের মূল উপখ্যান,
কবিতায় লিখে কবি পাঁচালির গান।
কাঁটা হেরি সাবধান হও সাধুজন।
কবিতায় লিখে কবি শ্রীমান লক্ষ্মণ।