ভালোবাসার মূল ভিত্তি গড়ে ওঠে বিশ্বাস আর শ্রদ্ধার মাধ্যমে। তবে সব ভালোবাসায় একটি বিশেষ জিনিসের প্রয়োজন হয়, আর তা হচ্ছে প্রিয়জনের কাছে প্রতিশ্রুতি। সম্পর্ক এগোয় প্রতিশ্রুতি নিয়ে, যে ভালোবাসায় প্রতিশ্রুতি নেই তার ভিত্তি গড়ে ওঠে না। তাই ভালোবাসা সপ্তাহের গুরুত্বপূর্ণ দিবস হলো ১১ ফেব্রুয়ারি ‘প্রতিশ্রুতি দিবস’।
ভালোবাসা মানে একে অন্যের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার অঙ্গীকার। প্রতি বছর সারা বিশ্বব্যাপী এ দিবসটি পালন করা হয় প্রতিশ্রুতি দিবস হিসেবে।


প্রিয় মানুষটির কাছে সারাজীবনের প্রতিশ্রুতি নিয়েই সম্পর্ক এগিয়ে নেবার নামই ভালোবাসা। তাই এ দিনটি আপনি আপনার প্রিয় মানুষটির কাছে প্রতিশ্রুতি করতে পারেন সেসব কথা যেগুলো পালন করতে আপনি সবসময় চেষ্টা করবেন।


প্রতিশ্রুতি দিবসে প্রিয়জনকে কী বলবেন?
*তোমায় অনেক অনেক বেশি ভালোবাসবো।
* বিপদের মুখে তোমায় ফেলে চলে যাবো না। সুখে-দুঃখে থাকবো তোমার পাশে।
* যে কোনও মূল্যে তোমায় রাখবো সুখে,আনন্দে।
*সব সময় আমি তোমার প্রতি সত্য এবং বিশ্বস্ত থাকবো।
*আমাদের সম্পর্কের মাঝে কোনও মিথ্যে, ছলচাতুরিকে রাখবো না।
* তোমায় কখনও কষ্ট দেবো না। দেবো না কোনো মানসিক আঘাত।


ভালবাসা দিবস সপ্তাহ ......প্রতিশ্রুতি দিবস আজি
আমার ভালবাসার কবিতা (পঞ্চম পরিচ্ছেদ)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


প্রতিশ্রুতি দিবসের প্রতিশ্রুতি দাও,
হৃদয়ের ভালবাসা বিনিময়ে নাও।
আজিকার শুভদিনে খুশি সবাকার,
প্রিয়তমে দাও আজি প্রীতি উপহার।


শুভদিন শুরু হোক প্রতিশ্রুতি দিয়ে,
প্রেম প্রীতি হৃদয়ের ভালবাসা নিয়ে।
জীবন সুখের হয় দিলে ভালবাসা,
প্রতিশ্রুতি দাও যদি পূর্ণ হবে আশা।


আমি তব তুমি মম লহ অঙ্গীকার,
আজীবন হবে সুখী কহিলাম সার।
হেন প্রতিশ্রুতি যদি উভয়ের হয়,
অন্যথা না হয় কভু জানিহ নিশ্চয়।


প্রতিশ্রুতি দিবসের আজি শুভক্ষণ,
সাধ্যমত প্রতিশ্রুতি করিবে পালন।
প্রতিশ্রুতি দিবসের কাব্য সমাপন,
পূণ্যদিনে কাব্যগাথা লিখিল লক্ষ্মণ।


মনে রাখবেন: এমন কোনো প্রতিশ্রুতি দেবেন না, যা পালন করতে পারবেন না।
তাই আর দেরি কেন, এখনই প্রিয়জনের নরম হাত ধরে নিজের মনের কথাটা বলে দিন। প্রিয়জনের মুখের হাসিই বলে দেবে তার জীবনে আপনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।