শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর কবিতা (ধর্মীয় কবিতা)
কলমে - কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী তিথি পূণ্য শুভক্ষণ,
মন্দিরেতে অবিরাম নাম সঙ্কীর্তন।
এই দিনে উপবাসী থাকে যেইজন,
শ্রীকৃষ্ণ করেন তার পাপের খণ্ডন।


জন্মিল যখন কৃষ্ণ কংস কারাগারে,
বসুদেব রাখি এলো যমুনার পারে।
ভাদ্রেতে বাদলধারা ঝর ঝর ঝরে,
কড়কড় ডাকে মেঘ অম্বরে অম্বরে।


বিজুলি ঝলসি উঠে ঘন কৃষ্ণ মেঘে,
কৃষ্ণ লয়ে বসুদেব ধায় দ্রুতবেগে।
বসুদেব নামে যবে যমুনার জলে,
শৃগালে দেখায় পথ অগ্রে অগ্রে চলে।


অশনি ভরা বিদ্যুৎ ঝলসি চৌদিকে,
মুহুর্মুহু গরজিছে মেঘ থেকে থেকে।
ভাদ্রমাসে ভরানদী রাত্রি অন্ধকার,
বাসুকি সহস্র ফণা করিয়া বিস্তার।


মুষল ধারায় বৃষ্টি অবিরাম ঝরে,
বাসুকি ধরিল ফনা মস্তক উপরে।
যমুনার পারে আছে নন্দের ভবন,
নন্দের ভবনে কৃষ্ণ বাড়ে অনুক্ষণ।


জন্মাষ্টমী ব্রতকথা যে করে শ্রবণ,
এ নাম শ্রবণে হয় পাপ বিমোচন।
জন্মাষ্টমী ব্রতকথা শুন দিয়া মন,
কবিতা লিখিল কবি শ্রীমান লক্ষ্মণ।