শ্রাবণের বাদল দিনে....... বৃষ্টি ঝরে আপন মনে
শ্রাবণের বর্ষণসিক্ত কবিতা (নবম পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


শ্রাবণের দুরন্ত বর্ষা আমাদের সকলের মধ্যে শিল্প এবং প্রকৃতির মাঝে লুকানো সৌন্দর্যকে জাগিয়ে তোলে। প্রবল বৃষ্টিতে সুজলা মাটির মায়াবী সুবাস, মাটিতে ঝরে পড়া ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টির আনন্দ আর মাটিতে বৃষ্টির উত্তেজনা, আকাশে বিদ্যুতের চমক আর বৃষ্টির পর মেঘে ঢাকা আকাশ আর চারদিকে প্রকৃতির সবুজের রূপ। মনে হয় প্রকৃতি যেন কোনো কারুশিল্পীর স্পর্শে সুন্দর পরিবেশ মনকে আনন্দে পরিপূর্ণ করে তোলে। শ্রাবণের দুরন্ত বর্ষায় কবির কলমে ফুটে উঠেছে শ্রাবণের বাদল দিনে কবিতাটি।


শ্রাবণের বারি ধারা ঝরে অবিরাম,
গুরুগুরু ডাকে মেঘ নাহিক বিরাম।
বিদ্যুত্ ঝলসি উঠে আকাশের কোণে,
জলে ভিজে মাঠে চাষ করে চাষীগণে।


কাদাডোবা জলে তার হাঁসগুলি চরে,
ঘোলাজলে খেলে তারা সারাদিন ধরে।
মাঠ, ঘাট, নদী, দিঘি ভরে যায় জলে,
মাঠ হতে চাষী-বধু নিজ ঘরে চলে।


অজয় নদীর জলে ঢেউ উঠে ফুলে,
কানায় কানায় বন্যা কেহ নাহি কূলে।
ভেঙে গেছে নদীবাঁধ গাঁয়ে ঢুকে জল,
ধ্বসে পড়ে বাড়ি ঘর শুনি কোলাহল।


শ্রাবণে বাদল নামে মেঘের গর্জন,
শ্রাবণের কাব্য লিখে কবি শ্রীলক্ষ্মণ।