সাধারণতন্ত্র দিবসের কবিতা (দেশাত্মবোধক কবিতা)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট ইংরেজ শাসনের থেকে স্বাধীনতা পায় ভারত। কিন্তু সে সময় ভারতের নিজস্ব কোনও স্থায়ী সংবিধান না থাকায় ব্রিটিশ সরকারের ১৯৩৫ সালের ‘গভর্নমেন্ট অব ইন্ডিয়া অ্যাক্ট’-এর সংশোধিত সংস্করণ অনুযায়ী স্বাধীন ভারত শাসিত হত।


দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে সংবিধান সভার ঘোষণা করা হয়। ১৯৪৭ সালের ২৯ অগস্ট আম্বেদকরের নেতৃত্বে ভারতে স্থায়ী সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে একটি খসড়া কমিটি গড়ে তোলা হয়। এই বছরের ৪ নভেম্বর খসড়া কমিটি সংবিধান সভায় ভারতীয় সংবিধানের খসড়া জমা দেয়। ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর সংবিধান সভায় শেষ পর্যন্ত ভারতীয় সংবিধানের খসড়া গৃহীত হয়।


সংবিধান সভার ৩০৮ জন সদস্য ১৯৫০ সালের ২৪ জানুয়ারি সংবিধানের দু’টি হস্তলিখিত কপিতে সই করেন। এর দু’দিন পর ২৬ জানুয়ারি ভারতীয় সংবিধান কার্যকর হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ভারত। এই দিনটিই Republic Day বা প্রজাতন্ত্র দিবস বা সাধারণতন্ত্র দিবস হিসাবে পালিত হয়।


সাধারণতন্ত্র দিবসে আজিকে
চিত্তে পুলক জাগে,
ত্রিবর্ণ পতাকা উড়িছে আজিকে
স্বাধীনতার রং লাগে।


দেশের মাটিতে বিদেশীরা এসে
করিল স্বাধীনতা হরণ,
ভারতীয় সেনা বীর বিক্রমেতে
করে সংগ্রাম আমরণ।


স্বাধীনতার তরে করিল সংগ্রাম
দিল যারা প্রাণ বলিদান,
আজিকার দিনে তাঁদের স্মরণে
দেশবাসী জানায় প্রণাম।


নেতাজী সুভাষ বিদেশেতে গিয়ে
করিলেন বাহিনী গঠন,
সিঙ্গাপুর হতে ভারতে আসিয়া
করে সংগ্রাম আমরণ।


স্বদেশের তরে বীর ক্ষুদিরাম
বিনয় বাদল ও দিনেশ,
ফাঁসির মঞ্চে হাসিতে হাসিতে
করিলেন প্রাণ নিঃশেষ।


ত্যাগী বীর সেই চিত্তরঞ্জন দাস
জাতির জনক গান্ধিজী,
স্বদেশের তরে স্বাধীনতা সংগ্রামে
রক্ত দিতে সবাই রাজি।


স্বাধীনতার তরে প্রাণ দিল যাঁরা
রাখিতে স্বদেশের মান,
৭৪তম সাধারণতন্ত্র দিবসে মোরা
তাদের জানাই প্রণাম।