পৌষ মাসের মকর স্নান ..সংক্রান্তিতে টুসুর ভাসান
নদীর চরে ধর্মশীলা মেলা -ছড়ার গান (সমাপ্তি পর্ব)
কলমে – কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


মকরে করে যে গঙ্গাস্নান,
সেই তো ধরায় পূণ্যবান।
সবারে আমি করি আহ্বান,
অজয়ে করো মকর স্নান।


কুমারী সবে গাইছে গান,
নদীর জলে টুসু ভাসান।
সংক্রান্তিতে বসেছে মেলা,
ম্যাজিক শো সার্কাস খেলা।


মেলার মাঝে পুতুল নাচে,
সবাই এসে ভিড় করেছে।
মিষ্টির দোকান সারি সারি,
কিনতে লাগে পয়সা ভারি।


নদীর চরে দোকান কত,
হরেক মাল মনের মত।
গলার হার, কানের দুল,
চুড়ি মালা ঝুমকো ফুল।


ঝাঁঝরি হাতা চালের গুঁড়ি,
চপ, সিঙাড়া, ঘুগনি মুড়ি।
তাল পাতার বানানো বাঁশি,
থালা বাসন কলসী কাঁসি।


বাঁশের বাঁশি খেলার বল,
কিনছে যত ছেলের দল।
কিনতে হলে মাথার ফিতে,
হবে তোমায় পয়সা দিতে।


কেউবা কিনে বাঁশের বাঁশি,
পুতুল বেচে টুনির মাসি।
ঝুমঝুমি ও কানের দুল,
কেউবা বেচে কাঠ পুতুল।


চপ বেগুনি মিষ্টি দোকান,
কেউবা বেচে খয়ের পান।
বেলুন বাঁশি চিরুনি আর,
খেলনা আছে বহু প্রকার।


বসেছে মেলা নদীর পারে,
দোকান পাট পথের ধারে।
খেলনা বল, মাটির ভাঁড়,
বাঁশের বাঁশি, ধনুক কাঁড়।


কেউবা কিনে গলার হার,
কেউবা বাঁশি তাল পাতার।
হাসছে খুকি বেলুন কিনে,
মেলায় মজা খুশির দিনে।


সকাল হতে সাঁঝের বেলা,
অজয় ঘাটে মকর মেলা।
মকর মেলা ভাঙলে পরে,
সবাই চলে আপন ঘরে।


নদীর চরে মিলন মেলা,
বাউল গান সাঁঝের বেলা।
বাউল শেষে যাত্রার গান,
যাত্রা পালায় জুড়ায় প্রাণ।


আজকে হবে যাত্রার পালা,
তরবারি নিয়ে যুদ্ধে খেলা।
যাত্রার সুরে বাজনা বাজে,
কেউবা রাজা বাদশা সাজে।


“বন্দী করুন আমায় রাজা,
দিন আমাকে কঠিন সাজা।”
যাত্রা আসরে দস্যুর ছবি,
লিখলো ছড়া লক্ষ্মণ কবি।