চৈত্রের সুপ্রভাতকালে-
শিমূল পলাশের বনে বনে
পুষ্পের বর্ণাঢ্য সম্ভার।
ধরিত্রীর বুকে বহন করে
নিয়ে আসে আনন্দ উল্লাস।
আম্রকাননে কোকিল কণ্ঠে
নব বসন্তের আগমনী বার্তা।
মা আসছেন। বাতাসে শিহরণ।
ঢাকীদের তালে তালে
কাঁসরের ঘণ্টাধ্বনি।
মা বাসন্তী জগজ্জননী কল্যাণীর
আগমনে দূরীভূত হোক
জগতের যত শোক, তাপ,
পাপ, জরা আর গ্লানি।


নমস্তে শরণ্যে শিবে সানুকম্পে
নমস্তে জগদ্ব্যাপিকে বিশ্বরূপে,
নমস্তে জগদ্ বন্দ্য পদারবিন্দে
নমস্তে জগত্তারিণী ত্রাহি দুর্গে।


অরণ্যে দারুণে রণে শত্রুমধ্যে
বিপদ্ সাগরে মজ্যাতাং দেহভাজাম্
ত্বমেকা গতির্দেবী নিস্তার কর্ত্রী
নমস্তে জগত্তারিণী ত্রাহি দুর্গে।।


বিশ্বের কল্যাণে
কল্যাণময়ী দেবী বাসন্তী মায়ের
আবির্ভাব। বিশ্ববাসীর কণ্ঠে
ধ্বনিত হয়---


ঔঁ দ্বৌ শান্তিঃ
অন্তরীক্ষং শান্তিঃ
পৃথিবী শান্তিঃ
শান্তিরাপ শান্তি রোষধয়।
শান্তিঃ বনস্পতয়ঃ
শান্তিঃ শান্তিরেব,
শান্তিসামা শান্তিরেধি।
ঔঁ আপদং শান্তিঃ
যত্র এবাগত পাপং
তত্রৈব প্রতিগচ্ছতু।
ঔঁ শান্তিঃ শান্তিঃ শান্তিঃ



-----------------------------------
বাংলা কবিতা আসরের সকল কবি ও পাঠকগণকে
জানাই শুভ বাসন্তী পূজার অগ্রিম প্রীতি শুভেচ্ছা
ও আন্তরিক অভিনন্দন।