আম বাগানের পাশ দিয়ে গাঁয়ের রাঙা মাটির পথে,
আমেরশাখে কোকিল ডাকে সকাল হতে না হতে।
তাল খেজুর আর সুপারি গাছে বাবুই বাসা বোনে,
ময়না চড়ুই ঝগড়া করে রান্নাঘরের চালের কোণে।


নদীর ঘাটের কাছে নৌকা বাঁধা সরু বালির চরে,
ঝাঁকে ঝাঁকে শালিক পাখি নীল আকাশে ওড়ে।
কলসী কাঁখে গাঁয়ের বধূ ঘাটে জল নিতে আসে,
মাথার ওপর সুনীল আকাশে শঙ্খচিলেরা ভাসে।


সকাল হলে রোজ দেখি পথে লাল ধূলো ওড়ে,
গাঁয়ের বাউল একতারাতে গান গায় মিঠে সুরে।
পুকুর পাড়ের শ্যাওড়া গাছে ঘুঘু পাখিদের বাসা,
দুপুর রোদেও লাঙল চালায় আমার গাঁয়ের চাষা।


পুকুরঘাটে নাইতে আসে ছেলেরা গামছা পরে,
সাবান মেখে সবাই দেখি ডুব দিয়ে চান করে।
বেলা আসে পড়ে সূর্য লুকোয় নদীর কিনারায়,
সাঁঝের আঁধার নেমে আসে আমার নির্জন গাঁয়।