জীবনের এই পান্থশালায়, কেহ আসে কেহ যায়,
কেউবা হাসে, কেউবা কাঁদে, পৃথিবীর পাঠশালায়।
ঊষর মরুর তরুর ছায়ে, আশায় বাঁধি যে খেলাঘর,
জীবননদীর ঘুর্নিপাকে, সে তো চোরা বালির চর।


জীবনখাতার পাতায় বিধি, লিখে গেছে সুখ ও দুখ,
কেউবা থাকে অট্টালিকায়, কারো হেরি মলিন মুখ।
ভবের হাটে খেলতে এসে, গেলাম হেরে অবশেষে,
সারাজীবন কাটলো দুখে, মানুষেরে শুধু ভালবেসে।


কান্নাহাসির লুকোচুরি হেরি, জীবন নদীর কিনারায়,
শেষের দিনে, চিতার আগুনে, জ্বলে পুড়ে হয় ছাই।
ভাঙাগড়ার খেলা চলে, বিধাতার এই খেলাঘরে,
জীবননদীর বালুচরে, জীবন ও মরণ খেলা করে।


জীবনের এই নাট্যশালায়, সবকিছুই শুধু অভিনয়,
জন্ম হলেই মরতে হবে, ভবের সংসার মায়াময়।