গেছে চলে চৈত্র রুদ্র বৈশাখের আগমনে,
আর না হেরি কুসুমকলি, বসন্তের ফুলবনে।
         লুকালো কোথায় প্রজাপতি,
           তটিনী হারায় আপন গতি,
নদীর তটে বকের সারি, ওড়ে না আপনমনে,
গেছে চলে চৈত্র রুদ্র বৈশাখের আগমনে।


আর না হেরি, কোকিল ডাকে, বসি আমের শাখে,
আর না হেরি, শালিকের ঝাঁক, গাঁয়ের পথের বাঁকে।
               পড়ে আসে বিকেল বেলা,
                সাঙ্গ হয় দিনের খেলা,
গাঁয়ের বধূ জল নিতে আসে, কলসী নিয়ে কাঁখে।
দিগন্তে ওই সূর্য লুকায়, সাঁঝের পাখি ডাকে।


মনের মাঝে জমে ওঠে মেঘ, আঁধার এসে নামে,
মন্দির মাঝে, কাঁসর বাজে, শান্ত ও নির্জন গ্রামে।
               জ্বলে ওঠে দীপ সন্ধ্যাবেলায়,
               বেজে ওঠে ঐ সাঁঝের সানাই,
আকাশের মাঝে তারারা লুকায়, চাঁদ জাগে ধরাধামে।
রাত কেটে গিয়ে, ভোর হয় শেষে, চাঁদের তরণী থামে।