জোড়াদিঘির ধারে ধারে
নিম আর তেঁতুল গাঁছ
দিঘির মাঝে জলে লাফায়
রুই আর কাতলা মাছ।


জোড়াদিঘি পাড়েতে তার
রাজহাঁসের এক সারি
পায়ে পায়ে এগিয়ে চলে
মৌন মিছিল করি।


দিঘির জলে খেলা করে
বুনো হাঁসের দল,
দিঘির পাড়ে পাখিরা
সব করে কোলাহল।


ঘুঘু পাখি ডাকছে দূরে,
চাঁপাতলার মাঠে।
পাড়ার ছেলেরা সাঁতার কাটে,
জোড়াদিঘির ঘাটে।


গাঁয়ের পথে রাখাল চলে
বাজায় রাখালিয়া সুর
দিঘির জলে করে খেলা
মায়াবী সোনালি রোদ্দুর।


তেঁতুলগাছে বাঁদর বসে
ল্যাজটি ঝুলে থাকে,
দূরে পলাশ গাছের বনে
দোয়েল কোকিল ডাকে।


জোড়াদিঘির পশ্চিমপাড়ে
চাষীরা লাঙল চষে।
ভুলো কুকুর শুধু ঘুমোয়
দিঘির পাড়ে বসে।


দিঘির ধারে সাদা বক
ঠোঁট দিয়ে মাছ ধরে,
কুহু স্বরে কোকিল ডাকে
পরাণ পাগল করে।


টিয়াপাখি বাসায় থাকে
জোড়া শালিক বসে গাছে।
ময়না ও চড়ুই আনন্দেতে
জোড়াদিঘির পাড়ে নাচে।


কাক ডাকে কর্কশ কণ্ঠে
শঙ্খচিল ওড়ে আকাশে,
কলসী কাঁখে গায়ের মেয়েরা
দিঘিতে রোজ নাইতে আসে।


দিঘির ধারে এক প্রান্তে
শিয়ালকাঁটার ঝোঁপ,
মাছশিকারী ছিপ ফেলে
বঁড়শিতে দেয় টোপ।


সন্ধ্যা হলেই আঁধার নামে
নীরব নিঝুম চাঁপাতলার মাঠ।
ঘরে ঘরে জ্বলে ওঠে দীপ
আঁধার হল জোড়াদিঘির ঘাট।