আম কাঁঠালের ছায়ার ঘেরা ছোট্ট আমার গ্রাম
গাঁয়ের নামটি পাথরচুড় তার ভারি সুন্দর নাম।
দূরে গাঁয়ের পাহাড় চূড়ো মোরে ডাকে ইশারায়
রাঙা মেঘ সাঁতার দিয়ে তারে ঢেকে দিয়ে যায়।
গাঁয়ের শেষে যায় যে দেখা অজয় নদীর বাঁক
নদীর ধারে কাশের বনে নাচে শালিক পাখির ঝাঁক।
দূরে আর্তনাদের পাহাড়, ক্রন্দন নদীর ঘাট
নীরব নিঝুম স্তব্ধ দুপুরে শুধু ধু ধু করে মাঠ।
বাঁশ বাগানের ভিতর দিয়ে সরু এক গলি পথে
কলসী কাঁখে গাঁয়ের বধুরা আসে পুকুরে জল নিতে।
লাল ধূলো উড়িয়ে পথে চলছে গরুর গাড়ি,
এই গাঁয়েতেই জন্ম আমার এই গাঁয়েতেই বাড়ি।
তেঁতুল বটের ছায়ায় ঘেরা ছোট্ট আমার গ্রাম
গাঁয়ের নামটি পাথরচুড় তার ভারি সুন্দর নাম।
দিনের শেষে সূর্য ডোবে সাঁঝের আঁধার নামে,
মৌনমুখর স্তব্ধতা নামে নির্জন এই গ্রামে।
ধূপ দীপ জলে প্রতি ঘরে ঘরে মন্দিরে বাজে ঘণ্টা,
ঢাকের শব্দে জেগে ওঠে পাড়া আকুল করে মনটা।
বিনিদ্রা রাতের তারারা আকাশে মিটি মিটি করে হাসে,
রাতের আঁধার কেটে গিয়ে শেষে নতুন সকাল আসে।
গাঁয়ের ছায়া মাটির মায়া গাঁয়ে এমনই মমতা মাখা
সারা হৃদয় জুড়ে আজও আছে সেই গাঁয়ের ছবি আঁকা।
তাল খেজুরের ছায়ায় ঘেরা ছোট্ট আমার গ্রাম
গাঁয়ের নামটি পাথরচুড় তার ভারি সুন্দর নাম।