কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত আসমুদ্রহিমাচল
স্বাধীনতার জন্য উত্তাল হয়ে উঠল।
ঝাঁসীর রাণী লক্ষ্মীবাঈ, নানাসাহেব,
তাঁতিয়া তোপি, হায়দর আলি, টিপু সুলতান।
দেহের শেষ রক্তবিন্দু ঢেলে দিয়ে
ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আমরণ সংগ্রাম চালিয়ে,
আত্ম বলিদান দিল স্বাধীনতার যুপকাষ্ঠে।
স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে
সূচনা হল এক রক্তাক্ত অধ্যায়।
রবার্ট ক্লাইভের দ্বৈত শাসন,
নবাবকে দিল ক্ষমতাহীন দায়িত্ব,
ইংরেজরা নিল দায়িত্বহীন ক্ষমতা।
লর্ড ডালহৌসীর স্বত্ববিলোপ নীতি,
কর্ণওয়ালিশের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত,
লর্ড ওয়েলেসিলির অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি,
ভারতবাসীর মনে ভীতির সঞ্চার করলো।
কেননা তাদের জাতীয় চেতনার অভাব ছিল।
ব্যারাকপুর ছাউনিতে দেখা দিল সিপাহীদের মধ্যে বিদ্রোহ।
সিপাহী বিদ্রোহের নেতা মঙ্গল পাণ্ডে।
শুরু হোল স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রথম সংগ্রাম।
তারপর রক্ত আর রক্ত,
এ দেশের উপর দিয়ে
বয়ে চলল রক্ত নদীর ধারা।
এরপর 1947 সালের 15 ই আগষ্ট।
দেশ হলো স্বাধীন। স্বাধীন ভারতের মাটিতে
উড়লো অশোকলাঞ্ছিত ত্রিবর্ণ পতাকা।
সফল হলো স্বাধীনতার সংগ্রাম।
জয়হিন্দ! জয় ভারত।