সাতসমুদ্র তেরো নদীর পারে
ছোট্ট একটি দ্বীপ, নাম তার ইংলণ্ড
অধিবাসী মাত্র পাঁচ কোটি
সেই পাঁচ কোটি মানুষ
চল্লিশ কোটি ভারতবাসীর আশা আকাংখাকে
পদানত করে রাখল। ইংরেজরা এদেশে
এসেছিল বাণিজ্য করতে বেনিয়া হয়ে।
বণিকের মানদণ্ড দেখা দিল রাজদণ্ডরূপে।
ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য স্থাপনের স্বপ্ন
ওদের দুচোখে। ওরা বলে-
ইণ্ডিয়ায় হামিলোক বাণিজ্য করিটে চাহে না।
চায় ব্রিটিশ শাসন কায়েম করতে।
পহেলা কদম হাঁসুলীডাঙা,
তারপর হইবে রসুলপুর,
কলিকাতা, গোবিন্দপুর, সুতানটি
অ্যাণ্ড দেন ওয়ান বাই ওয়ান
হোল বেঙ্গল ইজ টু বি আওয়ার্স।
টামাম হিন্দুস্তান হামাদের হইবে।
ওদের বেইমানীর প্রথম সুত্রপাত
ঘটলো পলাশীর প্রান্তরে।
মীরজাফর, উর্মিচাদ, রায়দুর্লভ,
জগতশেঠের দলকে ওরাই
বেইমান সাজিয়ে ছিল। যার ফলে
প্রাণ হারালেন বঙ্গজননীর স্নেহের দুলার
হতভাগ্য নবাব সিরাজউদ্দৌলা।
হায় পলাশী, রাক্ষুসী পলাশী
ভারত সূর্য ডুবে গেল হায়
আঁধার ঘনালো রাশি রাশি।
মীরমদন আর মোহনলালের কাঁধে ভর দিয়ে
সিরাজ বলছে—ঐ আশমানের দিকে চেয়ে
দেখো মীরমদন, মোহনলাল- আমার দাদুভাই
নবার আলিবর্দি খাঁ বলছে- ওরে সিরাজ!
ভারতের স্বাধীনতাকে তুই বিদেশী
ইংরেজদের পায়ে বিলিয়ে দিস না।
অবশেষে প্রাণহীন দেহটা লুটিয়ে পড়ল
পলাশীর উন্মুক্ত প্রান্তরে।