বাউরী পাড়ার মোড়ে,
গোটা গাঁয়ের লোকের ভিড়।
বাউরী পাড়ার মেয়ে ঝিলিক,
আজ সকালে চাকু মেরে
খতম দিয়েছে ওর সোয়ামীকে।
মরা লাশটা উঠোনে পড়ে আছে।
ওর চার বছরের মেয়ে বিজলি
কেঁদে কেঁদে বলে- বাবা গো বাবা,
তুই কথা বলছিস নাই ক্যানে?
পাড়ার বউঝি রা বলে-
এ তুই কি করলি ঝিলিক,
পুলিশ তুকে থানায় নিয়ে যাবেক।
আর তারপরই পুলিশ আসে।
মরা লাশটাকে ভ্যানে উঠাল।
ঝিলিকের হাতে হাতকড়া পরিয়ে দেয়।
দারোগাবাবু বলে -এ কাজ
তুই কেন করলি ঝিলিক?
ঝিলিক বলে, সত্যি কথা বলবো দারোগাবাবু,
মিছা কুথা বলতে পারব নাই।
সকাল থেকে ঘরে চাল নেই।
মা বিটি দুজনাতেই উপোস দিয়ে আছি।
অত রাতে মরদ আমার ঘরে এলো।
মদের নেশায় টোল হয়ে।
গোটা রাতে বেহোঁশ। ওর হোঁশ নাই।
সকাল হলেই অন্যায় আবদার,
মদ খেতে ট্যাকা দে মাগী,
নাহলে মা বিটি তুদের দুজনাকেই
গলা টিপে মারব। আমার মাথায়
খুন চেপে গেল। হাতের সামনে
চাকুটা দিয়েই তাকে আমি
জনমের মতন খতম করে দিইছি।
দারোগাবাবু বলে- তোর কথা হয়তো ঠিক।
মহামান্য আদালত তোকে কি শাস্তি দেবে
জানি না।  আইনের চোখে তুই অপরাধী হলেও
মানবিকতার বিচারে তুই নিষ্পাপ।
ঝিলিক বলে- আমার সোয়ামীকে না
মারলে আমাদের দুজনকেই মরতে হত।
পারত তোদের আইন আমাদেরকে বাঁচাতে।
পুলিশের ভ্যানে উঠল ঝিলিক।
গাঁয়ের লোক সবাই অবাক হয়ে
দেখতে থাকে খুনী যাচ্ছে থানায়।