এখন অনেক রাত।
নিঝুম রাতের পৃথিবী
গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন।
শুধু দুজনের চোখে ঘুম নেই।
একজন যুবক, অন্যজন যুবতী।
যুবকের কণ্ঠে জিজ্ঞাসা-
কে তুমি ?  কি চাও ?
যুবতীর কণ্ঠ থেকে ভেসে আসে-
আমি পূর্ণযৌবনা যুবতী,
আমি চাই উদ্দীপ্ত যৌবন ভরা পুরুষ।
---- বেশ তবে তাই হোক,
এসো আমার সাথে।
........এমনি করেই রাতের
অন্ধকারে এই পৃথিবীতে
বহু অপরিশ্রুত ভ্রূণের জন্ম হয়।
ন্যায়, নীতি, মনুষত্বকে বিসর্জন দিয়ে,
মানবিক মর্যাদাবোধের কণ্ঠরোধ করে,
নির্মম মায়া মমতার বুকে চাবুক মেরে,
মাতৃজঠরে জন্ম নেয় অবাঞ্ছিত শিশুসন্তান।
এদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়
রাসায়নিক ল্যাবরেটরিগুলোতে।
অজান্তে কেউ কেউ ভুমিষ্ঠ হয়ে
কাঁদতে থাকে অবিরাম ।
এত বিশাল পৃথিবীতে
এদের ঠাঁই নেই।
এরা পৃথিবীর অভিশাপ,
এরা সমাজের জঞ্জাল,
সুন্দর পৃথিবীর আলো
এদের কাছে পৌঁছায় না।
এদের জন্ম হয় অন্ধকারে,
এদের জীবন নিঃশেষ
হয়ে যায় অন্ধকারেই,
নর্দমার পচা নোংরা জলে
অথবা আবর্জনার স্তূপে।