জয় বাবা লোকনাথ।
তুমি জগতের নাথ,
হৃদয়ের দেবতা আমার।
পারের কাণ্ডারী
পার করে দাও,
আমি যে জানি না সাঁতার,
কেমনে হব ভবসাগর পার?
ব্যথায় ভরা জীবন আমার
নিভে গেছে দীপ সকল আশার
দেখাও আলো জীবনস্বামী,
তুমি প্রভু অন্তর্যামী।
পূর্ণ করো ইচ্ছা আমার।
আমি যে জানি না সাঁতার।
পার করে দাও পারের কাণ্ডারী,
আমায় কর ভব পার।
ডাকি তোমায় বারে বার।
ওগো প্রভু দেবতা আমার।
তোমার নাম স্মরণ করি
ভাসালাম মোর জীবন তরী
মাঝ দরিয়ায়, যদি তরী ভেসে যায়,
পার করে দাও পারের কাণ্ডারী
তোমার নাম নিয়ে,
ভক্তি পুষ্প অশ্রু দিয়ে,
দিনরাত শুধু কেঁদে মরি।
আমি যে দীন হীন সন্তান তোমারই।
পার করে নাও তুমি, পারের কাণ্ডারী।
(আমার) ছিঁড়ে গেছে পাল,
ভেঙে গেছে হাল,
আমায় কর তুমি পার,
ডাকি তোমায় বারে বার।
হে বাবা লোকনাথ,
তুমি জগতের নাথ,
হৃদয়ের দেবতা আমার।
আমার কর তুমি পার।
কূল ভাঙা ঢেউ যেমন
উথাল পাথাল করে।
একা আমি বসে থাকি
নদীর কিনারে।
কূল ভাঙা ঢেউ আমি
আমার ঠিকানা নাই,
হাত খানি ধরো মোর
যদি আমি ভেসে যাই।
হে বাবা লোকনাথ,
করো আশীর্বাদ, যেন
ভবসাগর হয়ে যাই পার।
আমি যে জানি না সাঁতার।
আমায় কর তুমি পার।
কেশ মোর পেকেছে,
দন্ত ভেঙে গেছে,
যৌবনে পড়েছে ভাটি।
আর দেখি না নয়নে,
শুনি না শ্রবণে,
হাতের ভর হলো লাঠি।
দিন তো বয়ে গেল,
সন্ধ্যা হয়ে এল
জীবনে নামিল আঁধার।
জীবন আঁধারে,
মোর হাতখানি ধরে
আলো দেখাও জীবনস্বামী।
ওগো প্রভু তুমি অন্তর্যামী।
আমি যে সাঁতার জানি না।
পার করে দাও পারের কাণ্ডারী
তোমার অপার করুণায়
কবিতা লিখে যাই,
আমি শ্রী লক্ষ্মণ চন্দ্র ভাণ্ডারী।
পার করে দাও মোরে
ভব পারের কাণ্ডারী।
হে বাবা লোকনাথ,
করো আশীর্বাদ, যেন
ভবসাগর হয়ে যাই পার।
আমি যে জানি না সাঁতার।