দুরন্ত বরিষা নামে সেই সকাল হতে
সবেগে বয়ে যায় গাঁয়ের মেঠো পথে
           মেঘাচ্ছন্ন গগনমণ্ডল
          গর্জন করে অবিরল
বিদ্যুত্ ঝলসিয়া ওঠে সূদুর প্রান্তেতে।


মধ্যপ্রান্তে গ্রামে মণ্ডপ হতে দূরে
নাইকো কোন কাজ বসে বসে ঘরে
          লয়ে একতারাটি
        পাগলাভোলা গাইছে দিবারাতি
হরি হে দীনবন্ধু এবার পার করো আমারে।


উল্টে গেছে ছাতা দৌড়ে চলে রামা
মোতি চলে হাটে লয়ে ফলের ধামা
            গ্রামের নরনারী
           চলছে বেধে সারি
আদুলগায়ে ছাতে হাতে ফল কিনে ক্যাবলার মামা।


গাঁয়ের শেষে নামু পাড়ার জগবন্ধু নামে
জপে নামের মালা বসতি এই গ্রামে
              কিছুক্ষণ পরে
           বলে হরে কৃষ্ণ হরে
সদাই নামের মালা জপে মত্ত হরিনামে।


দারুণ বাদল দিনে নাইকো মাঝে ঘাটে
বইছে পূবে হাওয়া বন্যা আসে নদীতে
           নাইকো কূলে কেউ
            উপছে পড়ে ঢেউ,
কালো মেঘে আকাশ ঢাকা মেঘে মেঘে বেলা কাটে।


ঝম ঝমাঝম বৃষ্টি পড়ে, আকাশ গেছে কালো মেঘে ছেয়ে
একলা কবি ভাবেন বসে আরাম কেদারায় নিজের কলমখানি নিয়ে
                      এমনি বৃষ্টিবাদল দিনে
                  কবির সাধ জাগে মনে
বৃষ্টিমুখর কবিতা এক লেখেন কবি ছন্দমধুর শব্দরাশি দিয়ে।