২০২২ বর্ষ সমাপন ........সুস্বাগতম নববর্ষ-২০২৩
শুভ নববর্ষে আমার কবিতা (তৃতীয় পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


বরণের ডালা নিয়ে এল শুভ নববর্ষ। ওহে চির নতুন! কি দিয়ে বরণ করি? হৃদয়ের বনের পাখি অঞ্জনা ডাকে, সুধারসধারে তারে দিলাম প্রাণের অঞ্জলি ভরি। শুভ নববর্ষের প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইলো সবার তরে। নতুন সম্ভাবনা, এক নতুন প্রত্যাশা নিয়ে আসুক। ২০২৩ নতুন বছর মানে, নতুন আশা, নতুন প্রত্যাশা। নতুন বছর, নতুন প্রভাত, নতুন সূর্য্য, কভু হয় না মলিন। নতুন কভু হয় না পুরাতন। ধরিত্রী তার অঙ্গনাতে, নেচে উঠে নতুন সজীবতায়। প্রকৃতির মাঝে কসুম শস্য শ্যামলিমা নবরূপে প্রাণোচ্ছাসে জীবের মধ্যে নবজাতক জন্ম দেয় জীবকোষে। নতুন আলো দেখে নবজাতকদের আহ্বানে। হে নতুন দেখা দাও বারে বারে জন্মেরও প্রথম শুভক্ষণে। আমাদের সব দুঃখের মাঝে, জগতের আনন্দযজ্ঞে নতুনেরে করি আমন্ত্রণ। ২০১৯–এ আগমন মরণ ব্যাধি করোনা ভাইরাস। ২০২৩ শে চাই চিরতরে বিদায়, কিন্তু হায়! সে আসিছে পুনরায়। চাইনা আর এই হাহাকার। নতুন বছরে নবযুবকদের নতুন চাকরি হোক, দেশের বেকার সমস্যা মিটুক। দীন-দুঃখীদের দুঃখ দুর হোক, মিলে যাক, মিশে যাক সব হাহাকার। অশুভ শক্তির হোক আজি বিনাশ। নববর্ষের নব উৎসব, নব মিলনের নব চেতনায়.... ভরে উঠুক হৃদয়ের নতুন বানী। শুভ নববর্ষ- ২০২৩


নবীন প্রভাত জাগে হিমের পরশ লাগে
শুভ নববর্ষ আজি তাই,
নতুন কিরণে রবি মনে হয় নব ছবি
নববর্ষে স্বাগত জানাই।


নতুন সকাল আসে পূবেতে অরুণ হাসে
নববর্ষে নতুন কিরণ,
গাঁয়ের পথের বাঁকে পাখি ডাকে তরুশাখে
পাখিদের মধুর মিলন।


অজয়ের নদীচরে বনভোজনের তরে
বালকেরা আসে দলে দলে,
সারাদিন নাচে গায় সন্ধ্যা হলে বাড়ি যায়
ঘাট ভরে খুশি কোলাহলে।


নববর্ষে নব আশা হৃদয়ের ভালবাসা
কত খুশি, হাসি আর গান,
হৃদয়ে পুলক জাগে দেহে মনে রং লাগে
লিখে কবি লক্ষ্মণ শ্রীমান।