বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণে মধ্যে এই স্বজাত্যবোধ ও বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়।
পয়লা বৈশাখ বাঙালির একটি সার্বজনীন লোকজ উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় নববর্ষ। পয়লা বৈশাখে বর্ণিল উৎসবে মাতবে দেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে।
************
বর্ষশেষে নববর্ষ আগমন.........সবাকার হরষিত মন
শুভ নববর্ষ-১৪৩০ নববর্ষের কবিতা (দশম পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


নববর্ষে নবরাগে হৃদয়ে পুলক জাগে
জাগে মনে নব নব আশা,
রোগ শোক জরা ক্লান্তি বর্ষজুড়ে ভুল ভ্রান্তি
ব্যক্ত করে হৃদয়ের ভাষা।


পুরাতন বর্ষস্মৃতি মহা মিলনের গীতি
স্মৃতি সব ধুয়ে মুছে যায়,
বর্ষ বিদায়ের ক্ষণে নব আশা জাগে মনে
নববর্ষ আসে বসুধায়।


নতুন পোশাক পরি হাতে হাত ধরাধরি
শিশুসব আনন্দেতে নাচে,
নব সাজে নববর্ষ হাসি, গান কত হর্ষ
ঘরে ঘরে শঙ্খ তাই বাজে।


আজি হতে বর্ষ পরে রাখি সব স্মৃতি ধরে
নববর্ষ হবে হবে পুরাতন,
তবু মনে জাগে আশা প্রেম প্রীতি ভালবাসা
কবিতায় লিখিল লক্ষ্মণ।