পয়লা বৈশাখ বাঙালির মনের ভেতরের সকল ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে আমাদের নতুন উদ্যমে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয়। বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পয়লা বৈশাখের বর্ষবরণে মধ্যে এই স্বজাত্যবোধ ও বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়।


পয়লা বৈশাখ বাঙালির একটি সার্বজনীন লোকজ উৎসব। এদিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয় নববর্ষ। পয়লা বৈশাখে বর্ণিল উৎসবে মাতবে দেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে।


বর্ষশেষে নববর্ষ আগমন.........সবাকার হরষিত মন
শুভ নববর্ষ -১৪৩০ নববর্ষের কবিতা (পঞ্চম পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


নববর্ষ বরণের উত্সবে আজি
                    মেতেছে বিশাল ধরা,
নতুনের গান সবারে আহ্বান
                     এসো এসো সবে ত্বরা।


ঘরে ঘরে শঙ্খ বাজে
সবে নব নব সাজে,
হাতে হাত ধরি নাচে
                      খোঁপায় বনফুল পরা,


পরনে তাদের লাল পাড় শাড়ি
                       গায়ে অলঙ্কার ভরা।
বর্ষ বরণে মেতেছে কিশোরী
                        অপরূপা মনোহরা।


নতুন দিনের নতুন আলোকে
                       সকলেই খুশি আজি,
পাখি সব জাগে দেখি ফুলবাগে
                       ফুটেছে কুসুম রাজি।


নতুন পোশাক পরি
হাতে হাত ধরাধরি
শিশুসব নৃত্য করি
                  নব রূপে উঠে সাজি,


বর্ষ বরণে ঘরে ঘরে
                তাই শঙ্খ উঠিল বাজি,
নতুন আলোর নতুন কিরণে
                 নতুন বছর শুরু আজি।


নতুন সকালে মাতিল সকলে
                     বর্ষ বরণের উত্সবে,
নতুন প্রভাতে সকলেই মাতে
                     হাসি গান কলরবে।


রোগ শোক তাপ আর জরা
শুচিস্নানে শুচি হোক ধরা
বর্ষ বরণে এস এস ত্বরা
                   শঙ্খ বাজাও এস সবে,


নতুন বছরে এস এস সবে
                    হৃদয় পুলকিত হবে,
দীপ্ত পুলকে নবীন আলোকে
                    একসুরে গাও সবে।