মহাশক্তির আরাধনা ......... দেবী বন্দনা
শ্রী শ্রী মহাসপ্তমী পূজা (পৌরাণিক কাহিনী)
তথ্যসংগ্রহ ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী

ত্রেতাযুগে ভগবান রাম তার স্ত্রী সীতাকে উদ্ধার করতে দেবী দুর্গার অকালবোধন করেন। ব্রহ্মার নির্দেশ অনুযায়ী দুর্গার সাহায্যে রাবণ বধ করে সীতাকে উদ্ধার করেন তিনি। দেবীর সেই আগমণের সময়ই দুর্গোৎসব। রাম শরৎকালে দেবীকে আহ্বান করেছিলেন বলে এ পূজা শারদীয় দুর্গাপূজা নামেও পরিচিত। আর মর্ত্যলোকে আসতে দেবীর সেই ঘুম ভাঙানোকে বলা বলা হয় অকাল বোধন।


অকালবোধন হল মহাপূজায় দেবী মা দুর্গার প্রারম্ভিক আবাহন, যা প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকে পরম্পরাগত ভাবে প্রবহমান। বসন্তকালের সঙ্গে ত্রেতা যুগে যুক্ত হল শরত্কাল - অর্থাত্‍ অকালে হল দেবীর বোধন, তাই এ হল অকালবোধন।
উচ্চারণ করি বোধনের মন্ত্র
রাবণস্য বধার্থায় রামস্যানু গ্রহায় চ/অকালে ব্রহ্মনা বোধো দেব্যাস্ত্বয়ি কৃতঃ পুরা।
অহমপ্যাশ্বিনে ষষঠ্যাং সায়াহ্নে বোধয়ামি বৈ।।


দশভূজা দেবী দুর্গা অসুর বধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতি শরতে কৈলাস ছেড়ে কন্যারূপে মর্ত্যলোকে আসেন। সন্তানদের নিয়ে পক্ষকাল পিতার গৃহে কাটিয়ে আবার ফিরে যান দেবালয়ে। আশ্বিন শুক্লপক্ষের এই ১৫টি দিন দেবীপক্ষ, মর্ত্যলোকে উৎসব।


দেবীপক্ষের সূচনা হয় আশ্বিন শুক্লপক্ষের অমাবস্যার দিন; সেদিন মহালয়া। আর দেবীপক্ষের সমাপ্তি পঞ্চদশ দিনে কোজাগরী পূর্ণিমায় লক্ষ্মীপূজার মধ্যে দিয়ে।


ষষ্ঠী তিথিতে দুর্গার বোধন সপ্তমীতে মূতির প্রাণ প্রতিষ্ঠা। অষ্টমী ও নবমীতে মহাপূজা ও দশমীতে দেবীর বিসর্জন। এই পূজার বিশেষত্ব হল সন্ধিপূজা অষ্টমী ও নবমী তিথির মিলনক্ষনে সন্ধিপূজা।


শারদীয়া দুর্গাপূজা জাতীয় জীবনে সর্বাঙ্গীন। তাই বাংলা কবিতা আসরের সকল  কবি ও সহৃদয় পাঠকবৃন্দকে জানাই শারদীয়া দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা। বাংলা কবিতার জয় হোক,
কবিগণের জয় হোক। জয়গুরু!!!


মহাশক্তির আরাধনা ......... দেবী বন্দনা
শ্রী শ্রী মহাসপ্তমী পূজা (দ্বিতীয় পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


মহা সপ্তমীর পূজা বিখ্যাত জগতে,
সপ্তমী বিহিত পূজা হয় বিধি মতে।
অজয় নদীর ঘাটে প্রভাত সময়ে,
স্নান করি সকলেই চলে দোলা লয়ে।


শঙ্খ, ঘণ্টা, ধূপ, দীপ বরণের ডালা,
দেবীর সম্মুখে শোভে প্রসাদের থালা।
পূজান্তে প্রসাদ ভোগ হয় বিতরণ,
মহানন্দে করে সবে প্রসাদ ভক্ষণ।


সন্ধ্যায় ধুনুচি নাচ ঢাক ঢোল বাজে,
ঢাকীরা বাজায় ঢাক সকলেই নাচে।
ধন্য ধন্য দুর্গাপূজা আলোর বাহার,
পুলকে হৃদয় নাচে আজি সবাকার।


পূজায় খুশির দিনে হরষিত মন,
মণ্ডপেতে নৃত্য করে সব শিশুগণ।
মহা সপ্তমীর পূজা হল সমাপন,
সপ্তমীর কাব্য লিখে ভাণ্ডারী লক্ষ্মণ।