সারাদিন কাজের পর যে মানুষটি হাসি মুখে বাড়ি ফেরেন, তিনিই পিতা। যাঁর কাছে সন্তানের সমস্ত বায়না, আবদার এক নিমেষে পাখা মেলে উড়তে পারে, তিনি তো পিতা। তাইতো মাতৃ দিবসের মত গোটা বিশ্ব জুড়ে বর্তমানে পালন করা হয় পিতৃ দিবসও।  পিতৃ দিবসে সব পিতারা যাতে আরও ভাল থাকেন, সেই প্রার্থনা।


প্রত্যেক পিতা যাতে সন্তানকে আরও জড়িয়ে থাকতে পারেন, ভালবাসতে পারেন, তার শখ, আহ্লাদ পূরণ করতে পারেন, সেই আশা নিয়ে এবারও পার হবে আরও একটি পিতৃ দিবস। পিতৃ দিবসে পিতাকে জানান শুভেচ্ছা...বেশির ভাগ মানুষের জীবনেই পিতার ভূমিকা অপরিসীম।


পিতা মানে হাজার কষ্টের মাঝে চোখের জল মুছে সন্তানের জন্য সেরা জিনিষের যোগাড় করা মানুষটি। পিতা মানে সারাদিন কাজের পর হাসিমুখে বাড়ি ফেরা মানুষটি।পিতা মানে সন্তানের আবদারের অন্যতম নাম। পিতা মানে কড়া শাসনের মাঝেও সন্তানের স্বপ্ন পূরণ করার কারিগর। স্বচ্ছন্দে জীবনযাপন করুন পৃথিবীর সব পিতা। মহান পিতৃ দিবসে
এই হোক সব সন্তানের প্রার্থনা।


সেই পরমপূজানীয় পিতাদের কথা মাথায় রেখেই তাই প্রতি বছর ১৯ জুন পিতৃ দিবস পালন করা হয়।  যদিও অনেকের মতে পিতাদের জন্য নির্দিষ্ট কোনও দিন হয় না। রোজ প্রতিটি মূহুর্ত তাদেরই। তবে ব্যস্ততার মাঝে যদি তাদের জন্য কিছু বিশেষ দিন স্থির করা যায়, তাই বা মন্দ কিসের!


শুভ পিতৃ দিবসে পৃথিবীর সব পিতাদের জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম। আসুন আজ মহান পিতৃ দিবসে আমরা সকলে শপথ গ্রহণ করি শেষ বয়সে কোন পিতার স্থান যেন বৃদ্ধাশ্রমে না হয়। তাহলেই সমাজজীবন হবে সুখময়। সংসার হয়ে উঠবে সুখের স্বর্গধাম।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন।
জয়গুরু!



মহান পিতৃ দিবসের কবিতা
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


মহান পিতৃ দিবসে পূণ্য শুভক্ষণ,
পিতৃপূজা কর সবে ধরিয়া চরণ।
শ্রদ্ধা সহ যেইজন পিতৃপূজা করে,
মহাসুখী সেইজন চিরদিন তরে।


পরিবার গড়ে পিতা বহু পরিশ্রমে,
জন্মদাতা পিতৃদেব কাঁদে বৃদ্ধাশ্রমে।
মাটির দেবতা পূজে পাবে কিবা ফল,
পিতা যদি বৃদ্ধাশ্রমে ফেলে চোখে জল।


পিতার সন্তান শুন বচন আমার,
পিতৃপূজা কর সবে কহিলাম সার।
পিতারে সম্মান কর পাবে পূণ্যফল,
লভিবে সম্মান যশ এই ধরাতল।


জীবন্ত দেবতা দেখ সম্মুখে তোমার,
আশীর্বাদ লহ ধরি চরণ তাঁহার।
পিতা সম গুরু কেহ নাহি বসুধায়,
রচিল লক্ষ্মণ কবি তার কবিতায়।