আজ পয়লা মে। মহান মে দিবস। মে দিবসের তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল এই দিনটি কৃষক-শ্রমিকদের রক্ত মাখা ইতিহাসকে স্মরণ করে, চলমান সংগ্রামকে তুলে ধরে এবং সংহতি গড়ে তোলে। এই দিনটি অতীতকে সম্মান করার, বর্তমানের জন্য লড়াই করার এবং সারা বিশ্বের শ্রমিকদের জন্য একটি উন্নত ভবিষ্যত গড়ে তোলার দিন।


সবারে করি আহ্বান- আসুন, আজ আমরা সমবেতভাবে মে মাসের অরুণ প্রভাতে রক্ত-নিশান হাতে তুলে ধরি। আসুন, শ্রমিকদের অধিকার এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের সংগ্রামে নিজেদেরকে পুনরায় নিবদ্ধ করি। আসুন আমরা ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কাজের পরিবেশ এবং সংগঠিত হওয়ার অধিকার দাবি করি। আসুন, আমরা এমন একটি ভবিষ্যতের জন্য লড়াই করি যেখানে প্রতিটি শ্রমিককে মর্যাদা এবং সম্মানের সাথে আচরণ করা হয়।


আজ আমাদের শ্লোগান- দুনিয়ার মজদুর এক হও।
কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের লড়াই জয়যুক্ত হোক।
বিপ্লব দীর্ঘজীবি হোক।
বাংলা কবিতা আসরের কবি, সাহিত্যক ও পাঠকবর্গকে জানাই রক্তিম সংগ্রামী অভিনন্দন।
জয়গুরু! জয়গুরু! জয়গুরু!


মে দিবসের ডাক (বিবিধ কবিতা)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


মে দিবসের অরুণ প্রভাতে
বিহগের কলতান,
যেন মনে হয় কৃষক শ্রমিকের
বিদ্রোহের জয়গান।


মাঠে মাঠে আজি সবুজ ফসলে
সবুজের অভিযান,
কলকারখানায় দেখিতে যে পাই
উড়িছে রক্তনিশান।


জাগো রে কিষান জাগোরে শ্রমিক
জেগে ওঠো সর্বহারা,
কান্না ঘাম আর রক্তের ফসল
শ্রম কেড়ে খায় যারা।


দেশের মাটিতে কেড়ে খায় ওরা
শিশুর মুখের গ্রাস,
কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করে তারা
ডেকে আনে সর্বনাশ।


রক্ত নিশান হাতে লয়ে যারা
করেছিল সংগ্রাম,
মে দিবসের অরুণ প্রভাতে
দাও তাদের সম্মান।