লক্ষ্মীদেবী আবাহন....... কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা
এসো মা লক্ষ্মী আমার ঘরে (প্রথম পর্ব)
তথ্যসংগ্রহ ও কলমে- লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


দেবী দুর্গার বিসর্জনের পর এবার ধনসম্পত্তির দেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় মাততে চলেছে বাংলা। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো ২০২২ ঘিরে ইতিমধ্যেই বাংলার গৃহস্থে প্রস্তুতির পালা শুরু হয়ে গিয়েছে। সৌভাগ্য, সৌন্দর্য, সম্পদ, সুখের দেবী লক্ষ্মীকে শরৎ পূর্ণিমার শুভ তিথিতে আরাধনা করা হয়। বাংলার ঘরে ঘরে যা কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো হিসাবে পরিচিত।


বিষ্ণুর শক্তির উৎসও মা লক্ষ্মী। অনেকেই সেই ছয় গুণের অধিকারী লক্ষ্মীদেবীকে শরৎ পূর্ণিমায় কোজাগরী লক্ষ্মী হিসাবে পূজা করেন, অনেকে দীপাবলিতে সময় দীপান্বিতা লক্ষ্মী হিসাবে পুজো করেন।


কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর তিথি- কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর সময়কালে পূর্ণিমা শনিবার ৮ অক্টোবর ভোররাত ৩টে ২৯ মিনিট ৪২ সেকেণ্ড থেকে পড়ছে। ৯ অক্টোবর রাত ২৫ মিনিট, ৫ সেকেণ্ডে ছাড়ছে। বলা হয় এই শরৎ পূর্ণিমায় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো সন্ধ্যার সময় করাই শুভ।


কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর নামকরণ- শরৎকালের লক্ষ্মীপুজো কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো নামে খ্যাত। এই পুজোয় রাত জাগার নিয়ম রয়েছে। 'কঃ' শব্দের অর্থ হল কে, আর 'জাগর' শব্দের অর্থ হল জেগে আছে। অর্থাৎ 'কে জেগে আছে'?


মনে করা হয় যে, লক্ষ্মীপুজোর দিন রাত পর্যন্ত জাগলে সেই বাড়িতে লক্ষ্মীদেবী প্রবেশ করেন। যাঁরা তাঁকে রাত পর্যন্ত জেগে আরাধনা করেন, দেবী তাঁদের আশীর্বাদ করেন। মনে করা হয়, এদিন রাতে দেবী স্বর্গ থেকে নেমে আসেন। শাস্ত্র মতে লক্ষ্মীর আসার সময় যে বাড়ির গৃহস্থরা ঘুমিয়ে থাকেন, সেখান থেকে মুখ ফেরান দেবী।


কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় কী কী প্রয়োজন- লক্ষ্মীর পাঁচালি ব্যতীত কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো হয়না। ঘর পরিচ্ছন্ন করে সেখানে ধানের শিষের আদলে আল্পনা দেওয়ার রীতি রয়েছে। মনে করা হয়, সেই পথ অনুসরণ করেই লক্ষ্মী ঘরে প্রবেশ করেন। পুজোয় ফলমূলের সঙ্গে চিঁড়ে ও নারকেল প্রয়োজন। আলপনায় থাকতে হবে ঝাঁপি, আয়না, চিরুণির ছবি। অনেকে তা সরায় লক্ষ্মীমূর্তির সঙ্গেই রাখেন। এছাড়াও কলা গাছের খোল দিয়ে বানাতে হয় বাণিজ্যতরী। তাতে অর্থ, মুদ্রা রাখার নিয়ম রয়েছে।
বাংলা কবিতার আসরের সকল কবিগণ ও সহৃদয় পাঠক-পাঠিকাগণকে জানাই কোজাগরী লক্ষ্মীপূজার শুভেচ্ছা।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু!!!


লক্ষ্মীদেবী আবাহন....... কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা
এসো মা লক্ষ্মী আমার ঘরে (প্রথম পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


নমঃ নমঃ লক্ষ্মীদেবী তুমি মা জননী,
ঐশ্বর্য বৈভব আদি সৌভাগ্য দায়িনী।
প্রণমি তোমায় মাগো এস মোর ঘরে,
জন্ম জন্ম থাকো মাগো বর্ষ বর্ষ ধরে।


দেবীর সম্মুখে ঘট তাহে আম্র শাখা,
আলয়ের চারিপাশে আলপনা আঁকা।
কমলা, কদলী, শশা, নারিকেল আর,
সুমিষ্টান্ন ফল আদি বিবিধ প্রকার।


ধান্য দূর্বা দিয়ে ঘটে গঙ্গাজল ভরে,
সুগন্ধি চন্দন দিয়ে লক্ষ্মীপূজা করে।
পূজান্তে অঞ্জলি দেয় যত এয়োগণ,
খিচুড়ি প্রসাদ ভোগ করে বিতরণ।


জয় মাগো লক্ষ্মীদেবী তুমি মা কমলা,
মোরঘরে থাক সদা তুমি যে চঞ্চলা।
করযোড়ে ডাকে কবি এস মোর ঘরে,
লিখিল লক্ষ্মণ কাব্য মা লক্ষ্মীর বরে।