21শে মার্চকে "বিশ্ব কবিতা দিবস" হিসাবে গ্রহণ করার মাধ্যমে ইউনেস্কো বিশ্ব শান্তি ও সম্প্রীতি প্রচারে কবিতার ভূমিকার প্রশংসা করে। কবিদের উদযাপনের পাশাপাশি, "বিশ্ব কবিতা দিবস" সাংস্কৃতিকভাবে স্বতন্ত্র কবিতা আবৃত্তি করার প্রাচীন রীতিকে পুনরুজ্জীবিত করে। এটি কবিতার লেখা ও পাঠকেও উৎসাহিত করে এবং অন্যান্য শিল্পকলা যেমন- সঙ্গীত, নৃত্য, থিয়েটার ইত্যাদির সাথে এর সংমিশ্রণকে অনুপ্রাণিত করে।


বিশ্ব কবিতা দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলি
কবিতার প্রেম
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


হে কবিতা!
তুমি আমার কবিতা।


তুমি কবির হৃদয়ে করে নিয়েছো প্রাণ,
গিয়েছো ভুলে যত ব্যথাভরা অভিমান।
তুমি যে আমার, শুধু কবির মনের কথা,
আছো, থাকবে চিরদিন না হবে অন্যথা।


হে কবিতা!
তুমি আমার কবিতা।


কবির সকাশে এসে, করেছো হৃদয় জয়,
কবিরে বেসেছ ভাল, নাহি ভয়, নাহি ভয়।
করেছ তুমি শঙ্কাকে জয়, নাহিক সংশয়,
তুমি অনন্যা, রূপে অনুপমা অভিন্ন হৃদয়।


হে কবিতা!
তুমি আমার কবিতা।


কবিতা পরশে কবির মনে জাগে চেতনা,
তুমি আমার, আমি তোমারে করি বন্দনা।
কবি আমি, আমি গাহি কবিতার জয়গান,
কবিতার প্রেম লিখে কবি লক্ষ্মণ শ্রীমান।


হে কবিতা!
তুমি আমার কবিতা।


*********


আজ বিশ্ব কবিতা দিবস,সকল কবিদের কবিতায় প্রাণ খুঁজে পায় যেন এই শুভ কামনায় সকল কবিদের জন্য শুভেচ্ছা থাকল। ১৯৯৯ সালের ২১শে মার্চ ইউনেস্কো ঘোষণা করেন এই দিনটিকে বিশ্ব কবিতা দিবস হিসেবে পালন করার জন্য। এই দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল বিশ্বব্যাপী কবিতা পাঠ, রচনা, প্রকাশনা এবং শিক্ষাকে উৎসাহিত করা। ইউনেস্কোর অধিবেশনে এই দিবস ঘোষণা করার সময় বলা হয়েছিল, এই দিবস বিভিন্ন জাতীয়, আঞ্চলিক এবংআন্তর্জাতিক কবিতা আন্দোলনগুলিকে নতুন করে স্বীকৃতি ও গতি দান করবে।