গাঁয়ের পথে লোক চলে,
মরাল ভাসে দিঘির জলে।
দিঘির পাড়ে তাল গাছে,
বাবুই পাখির বাসা আছে।


পাখিরা সব বাসায় থাকে,
বাড়ির উঠোনে কাক ডাকে।
ছেলেরা সব পথের পরে,
উড়ায় ধূলো ইচ্ছে করে।


অজয়নদীর ঘাটের কাছে,
মা কালীর মন্দির আছে।
দূরে দেখি শ্মশান ঘাটে,
জ্বলে চিতা দিনে রাতে।


যাত্রী বোঝাই নৌকা আসে,
পূবের গগনে অরুণ হাসে।
যাত্রীরা নামে নৌকা হতে,
পায়ে হেঁটে চলে রাঙাপথে।


গাঁয়ের বধূরা কলসী কাঁখে,
জল নিয়ে আসে নদী থেকে।
গাঁয়ের পথে মোড়ের মাথায়,
ভালুক-ওয়ালা ভালুক নাচায়।


গাঁয়ের বাউল পথের পরে,
একতারা বাজিয়ে গান করে।
গলিপথে চলে ময়রা বুড়ি,
মাথায় লয়ে ধানের ঝুড়ি।


আঙিনায় বসে টুনির মা,
সেলাই করে ফ্রকজামা।
রাস্তার মাঝে নিধিরাম,
ঝাঁকা মাথায় বেচে আম।


পড়ে আসে বেলা সূর্য ডোবে,
নামে আঁধার বাঁশের ঝোপে।
সানাই-এর সুর বেজে উঠে,
চাঁদের আলো জোছনা ফুটে।