আজ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মজয়ন্তী। আসুন, আমরা সকলেই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ জানাই। বিশ্বকবি রবিঠাকুরকে আজ তাঁর শুভ জন্মদিবসে জনগনের দ্বারা বন্দনায় বিশ্ববন্দিত করে তুলি।
সাথে থাকুন, পাশে রাখুন। জয়গুরু!


বিশ্বকবির শুভ জন্মদিন......... আজি পঁচিশে বৈশাখ
বিশ্বকবির ১৬২তম জন্মজয়ন্তীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি
আমার লেখা একগুচ্ছ কবিতা
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


শুভ জন্মদিন পঁচিশে বৈশাখে
কবিগুরু লহ প্রণাম,
বিশ্বকবি তুমি দিকে দিকে শুনি
বিশ্বজয়ী তব নাম।


তুমি বিশ্বকবি কবিশ্রেষ্ঠ রবি
তুমি কবি বসুধায়,
তব বন্দনায় তরুর শাখায়
নিত্য পিকদল গায়।


হে কবিপ্রতীম তুমি কবিগুরু
লিখিলে কবিতা কত,
তোমার কবিতা ধরার সবিতা
জ্বলে ওঠে অবিরত।


বিশ্বকবি তুমি তোমারে প্রণমি
তুমি যে কবির সেরা,
তোমার গৌরবে গর্বিত সকলে
প্রণাম জানাই মোরা।


প্রণাম তোমায় হে কবি মহান
তুমি যে প্রাণের কবি,
ভালবাসা দিয়ে বেঁধেছো সবারে
তুমি যে প্রভাত রবি।


পঁচিশে বৈশাখে হেরি তরুশাখে
পাখিদের কলরবে,
শুভ জন্মদিন বাজিতেছে বীন
রইবে কবি নীরবে।


তুমি বিশ্বকবি তোমারে প্রণমি
কবিগুরু রবিঠাকুর,
লিখিলে যে কত কাব্য গীতিমালা
দিলে সুমধুর সুর।


বিশ্বকবি তুমি তুমি কবিগুরু
দেশে দেশে তব নাম,
নোবেল বিজয়ী হে কবি মহান
তোমারে জানাই প্রণাম।


এ বিশ্ব মাঝারে দিলে সবাকারে
হৃদয়ের ভালবাসা,
তোমারে লভিয়া ধন্য বিশ্ববাসী
জাগে নব নব আশা।


হিন্দু মুসলমান বৌদ্ধ ও খ্রীষ্টান
জাতি ধর্ম নির্বিশেষে,
রাখী উত্সবে দিলে বাঁধি রাখী
সবাকারে ভালবেসে।


এই ভারতের মহা মানবের
সাগরের তীরে কবি,
জাতিভেদ ভুলে মাতিল সকলে
দেখি মিলনের ছবি।


মানুষেরে তুমি ভালবাসা দিয়ে
করিলে হৃদয় জয়,
বিশ্বের কবি তুমি কবিগুরু
তোমার হউক জয়।


ওই যে আসিছে ভৈরব হরষে
এসো পঁচিশে বৈশাখ,
মোহ কালিমা সব দূরে যাক
মিলে যাক মিশে যাক।


দিনে দিনে কত লিখিলে কবিতা
কত কাব্য কত গান,
বিশ্বকবি তুমি হে রবি ঠাকুর
জানাই কবি প্রণাম।


************


বিশ্বকবির শুভ জন্মদিন......... আজি পঁচিশে বৈশাখ
লহ কবি প্রণাম (দ্বিতীয় পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


আজি এ প্রভাতে পঁচিশে বৈশাখে
চির উদ্ভাসিত রবি,
বসুধার মাঝে মানব প্রেমিক
তুমি যে বিশ্বের কবি।


দিকে দিকে তব বিজয় বারতা
দেশে দেশে তব নাম,
পঁচিশে বৈশাখে আজি সুপ্রভাতে
জানাই কবি প্রণাম।


তুমি কবিগুরু বিশ্বকবি তুমি
নোবেল বিজয়ী তুমি
দিকে দিকে বাজে জয়শঙ্খ তব
কান পেতে মোরা শুনি।


সংগীতে তব সুমধুর সুরে
জাগিল মোদের আশা,
জগত মাঝারে তুমি সবাকারে
দিয়ে গেলে ভালবাসা।


নাটক সংগীত কত উপন্যাস
রচনা করিলে তুমি,
আজি শুভদিনে হে কবি মহান
তোমায় মোরা প্রণমি।


দিনে দিনে কত রচিলে কবিতা
বিশ্বজুড়ে তব নাম,
মানব প্রেমিক তুমি বিশ্বকবি
হে কবি লহ প্রণাম।


***********


বিশ্বকবির শুভ জন্মদিন......... আজি পঁচিশে বৈশাখ
লহ কবি প্রণাম (তৃতীয় পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


বিশ্বের কবি রবি ঠাকুর
তোমায় জানাই প্রণাম,
জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি
তব পবিত্র জন্মধাম।


পঁচিশে বৈশাখ পূণ্য দিবসে
এলে তুমি ধরাধামে,
রচিলে কত গীতি ও কবিতা
রবীন্দ্র সংগীত নামে।


প্রাণের ঠাকুর হে রবি কবি!
তুমি যে বাংলার কবি,
পঁচিশে বৈশাখে তীব্র দাবদাহে
চির উদ্ভাসিত রবি।


দুই বাংলার জাতীয় সংগীত
তোমারই তো অবদান,
বিশ্বের কবি হে রবি ঠাকুর
তোমায় জানাই প্রণাম।


বিশ্বের মাঝারে গাহিলে হে কবি
বঙ্গ জননীর জয়গান,
রচিলে হে কবি গীতাঞ্জলি কাব্য
রাখিলে জাতির মান।


এসো এসো কবি হে বিশ্বকবি!
আসুক পঁচিশে বৈশাখ,
বিশ্ববাসী সবে ডাকে বারেবার
শুনিতে পাও কি ডাক?


বিশ্ব বরেণ্য হে বিশ্বের কবি
কবিগুরু লহ প্রণাম,
সারা বিশ্বজুড়ে সবার হৃদয়ে
আছে লেখা তব নাম।


***********


বিশ্বকবির শুভ জন্মদিন......... আজি পঁচিশে বৈশাখ
লহ কবি প্রণাম (চতুর্থ পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


আজি শুভ জন্মদিন দিকে দিকে বাজে বীন
ওঠে বেজে সঙ্গীতের সুর,
আজি পঁচিশে বৈশাখ, শুভদিনে শুনি ডাক
বিশ্বকবি রবীন্দ্র ঠাকুর।


তুমি যে বিশ্বের কবি, চির উদ্ভাসিত রবি,
বিশ্বজুড়ে খ্যাত তব নাম,
আজি পঁচিশে বৈশাখ, দিকে দিকে বাজে শাঁখ
কবি লহ মোদের প্রণাম।


রবীন্দ্র সঙ্গীতে তব চিত্তে জাগে আশা নব
বেজে ওঠে সুরের ঝঙ্কার,
তুমি যে কবির সেরা প্রণাম জানাই মোরা
বিশ্বকবি তুমি বসুধার।


নোবেল বিজয়ী তুমি, ধন্য তব বঙ্গ ভূমি,
বিশ্বকবি তুমি যে মহান,
আজ পূণ্য শুভ দিনে এসেছিলে এ ভুবনে
লহ কবি সশ্রদ্ধ প্রণাম।


***********


বিশ্বকবির শুভ জন্মদিন......... আজি পঁচিশে বৈশাখ
লহ কবি প্রণাম (পঞ্চম পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


পঁচিশে বৈশাখ আসে মনের হরষে,
দুঃখ দৈন্য যত ঘুচে সুখের পরশে।
এসো হে বৈশাখ! আনো আরো উত্তাপ,
ঘুচে যাক কালিমা, শোক জরা তাপ।


ধরায় নবরূপে আসুক প্রতি বরষে।
পঁচিশে বৈশাখ আসে মনের হরষে,
আজি বসুধায় বাজুক মিলনের শংখধ্বনি,
ঐ আসে পঁচিশে বৈশাখ, শুনি পদধ্বনি।


রবীন্দ্র সংগীতের সুরে বৈশাখের আগমনী।
এসো হে বৈশাখ! মোরা কান পেতে শুনি।
এসো হে পঁচিশে বৈশাখ এ বসুধায়,
লীন হয়ে যাক তব সুরের মূর্ছনায়>


জন্ম নিক আবার আরো এক রবি কবি,
যার কিরণ ছটায় নির্মল প্রকৃতির ছবি।
সারা বসুধায় বাজুক মিলনের শংখধ্বনি,
ঐ আসে পঁচিশে বৈশাখ, শুনি পদধ্বনি।


রবীন্দ্র সংগীতের সুরে বৈশাখের আগমনী,
এসো হে বৈশাখ! মোরা কান পেতে শুনি
শঙ্খনাদ। বিদুরিত হোক জগতের কালিমা
বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ুক কবির অমর মহিমা।


কবি রবি ঠাকুর! আবার এসো এ ধরায়,
নাটক, আবৃত্তি ও তব সংগীতের মহিমায়।
সারা বসুধায় বাজুক মিলনের শংখধ্বনি,
এল পঁচিশে বৈশাখ, তাই শুনি পদধ্বনি।


রবীন্দ্র সংগীতের সুরে বৈশাখের আগমনী।
এসো হে রুদ্র বৈশাখ! কান পেতে শুনি।
নব নব রূপে তাই আসুক প্রতি বরষে,
আজি এল পঁচিশে বৈশাখ মনের হরষে।


***********


বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ডাকঘর নাটকের কবিতায় রূপদান
কবিতার নাম: অমল ও দইওয়ালা
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


“দই, দই আছে ভালো দই!”
দইওয়ালা রোজই হাঁকে,
দইওয়ালার সেই ভালো দই
তার মাটির ভাঁড়ে থাকে।


দধির বাঁকখানা কাঁধে নিয়ে
সে যে ঘুরে পাড়াময়,
দইওয়ালাকে দেখে অমলের
দই খেতে বাড় সাধ হয়।


“দইওয়ালা! ও ও দইওয়ালা!
বারেক শুধু ফিরে চাও,”
“দই কিনবে? তবে কেন আমার
বেলা বইয়ে তুমি দাও?”


“কেমন করে কিনবো দই,
আমার তো পয়সা নাই ”
এই কথা শুনে দইওয়ালার
পরাণ জুড়িয়ে যায়।


“দইওয়ালা! ও দইওয়ালা! তুমি
আসছো কোথা থেকে?
তোমাদের গ্রাম সেই বুঝি কি
শ্যামলী নদীর বাঁকে?


ওই পাঁচমুড়ো পাহাড়ের তলায়
সেই শ্যামলী নদীর ধারে,
তোমাদের গ্রামের ডাঙায় কত
গরু বাছুর বেড়ায় চরে।


মেয়েরা সব জল আনতে যায়
সবে রাঙা শাড়ি পরে,
তোমাদের গ্রামে যেতে আমার
তাই ভারি ইচ্ছে করে।


দধির বাঁক নামিয়ে মাটিতে
দইওয়ালা মোছে ঘাম,
“এক ভাঁড় দই খাও বাছা তুমি
লাগবে না কোন দাম”


“ও দইওয়ালা! সুরটা তোমার
শিখিয়ে দাও না আমায়,
ভেসে আসা যে সুর শুনে মন
শুধুই উদাস হয়ে যায়।


কেমন সুরে তুমি হেঁকে বল
দই- দই! আছে ভালো দই!
তোমার সাথে সে মধুর সুর
মেলাতে পারছি আমি কই?”


দইওয়ালা কয়- “হায় পোড়াকপাল!
এ সুর কি শেখবার সুর?
“না না দইওয়ালা, সে সুর মিলে যায়
ওই দূর হতে বহুদূর”।


“দই বেচতে যাবে কেন বাবা,
কেনই বা দই বেচবে?
অত অত পুঁথিপত্র পড়ে তুমি
পণ্ডিত হয়ে যে উঠবে ”।


“না না দইওয়ালা, আমি কখনও
পণ্ডিত হতে চাই না”।
কল্পনার চোখে ভেসে ওঠে তব
ছোট্ট সেই গ্রামখানা।


দইওয়ালা কয় “সারা জীবন আমি
শুধু দই বেচে কি পেলাম?
দই বেচতে যে আছে কত সুখ তা
তোমার কাছে শিখে নিলাম”।