অজয় নদীর তীরে... পাখিরা গাহিছে নীড়ে
অজয় নদীর কবিতা (সপ্তম পর্ব)
কলমে কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


অজয় নদীর পারে কাঁটাবন দুইধারে
রাঙাপথ চলে গেছে দূরে,
বসিয়া তরুর ছায় রাখাল বাঁশি বাজায়
বাজে বাঁশি রাখালিয়া সুরে।


নদীর ঘাটের কাছে মুড়ির দোকান আছে
আলুচপ বেচে শান্তাবুড়ি,
দূরের যাত্রীরা আসে বসে দোকানের পাশে
চপ মেখে খায় ভাজামুড়ি।


সাঁতার কাটে ছেলেরা মাছ ধরে জেলেরা
গাঁয়ের বধূরা স্নান করে,
রাঙাপথ ধরি যায় মুখ ঢাকি ঘোমটায়
জল নিয়ে বধূ চলে ঘরে।


পড়ন্ত বিকেল বেলা সাঙ্গ দিবসের খেলা
সূর্য ডুবে পশ্চিম দিশায়,
সাঁঝের আঁধার নামে জ্বলে দীপ দূরগ্রামে
বাজে দূরে সাঁঝের সানাই।


দূরে আকাশের গায় চাঁদ তারা দেখা যায়
জোছনা ঝরিছে নদীজলে,
জোছনায় চারিদিক করে কত ঝিকমিক
কুলু কুলু নদী বয়ে চলে।