অজয় নদীর তীরে.... পাখিরা গাহিছে নীড়ে
অজয় নদীর কবিতা (ষষ্ঠ পর্ব)
কলমে কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


অজয় নদীর কাছে পাখি ডাকে গাছে গাছে
সোনা রোদে অজয়ের চর,
চিক চিক করে বালি মাজে ঘটি বাটি থালি
স্নান সেরে বধূ চলে ঘর।


হাট বসে নদীতীরে চেনা অচেনার ভিড়ে
সারাদিন বেচাকেনা চলে,
হাটুরেরা আসে সব করে কত কলরব
ঘাট ভরে জন কোলাহলে।


অজয় নদীর বাঁকে সেগুনের বন থাকে
দূরে শাল পিয়ালের বন,
বেলা যেই আসে পড়ে শালবনে পাতা নড়ে
সোনা রবি ছড়ায় কিরণ।


সাঁঝের আঁধার নামে জ্বলে দীপ দূরে গ্রামে
অজয়ের ঘাট অন্ধকার,
অজয় নদীর পাড়ে দুইধারে ঝোপেঝাড়ে
জোনাকিরা জ্বলে চারিধার।


গগনেতে চাঁদ উঠে লক্ষ লক্ষ তারা ফুটে
নদীচর ছবি মনে হয়,
জোছনায় নদীজল অপরূপ ঝলমল
কুলু কুলু জলধারা বয়।