অজয় নদীর তীরে.... পাখিরা গাহিছে নীড়ে
অজয় নদীর কবিতা (চতুর্থ পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী


অজয় নদীর পারে ধান খেত সারে সারে
মাঝখানে সবুজ ডাঙায়,
আসে গাঁয়ের রাখাল সাথে নিয়ে গরুপাল
বাজিয়ে বাঁশি ধেনু চরায়।


সোনালী কিরণ ঝরে অজয়ের নদীচরে
পূবে হাসে অরুণ তপন,
কুঞ্জে কুঞ্জে পাখিসব বসি করে কলরব
গান শুনে ভরে উঠে মন।


ছাড়িয়া পূবের মাঠ সোজা পথ নদীঘাট
নদীঘাটে আসে যাত্রীদল,
হাট বসে বুধবারে অজয় নদীর পারে
শুরু হয় জন কোলাহল।


মানুষের আনাগোনা সারাদিন বেচা কেনা
দিনশেষে ভেঙে যায় হাট,
বেচা কেনা সারা হলে সবে ঘরে ফিরে চলে
নির্জন হয় নদীর ঘাট।


আকাশেতে ফুটে তারা মেতে উঠে মাঝিপাড়া
অজয় নদীর ঘাট কাছে,
মহুলের বনে বনে সাঁওতালী বধূগণে
হাত ধরাধরি করে নাচে।