অজয় নদীর তীরে.... পাখিরা গাহিছে নীড়ে
অজয় নদীর কবিতা (তৃতীয় পর্ব)
কলমে- কবি লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী
আমার গাঁয়ের কাছে ছোট এক নদী আছে
দুইধারে ছোট ছোট গ্রাম,
অজয় নদীর ধারা বহিছে পাগল পারা
কুলু কুলু বহে অবিরাম।
হাট বসে নদীচরে সবে বেচা কেনা করে
নদীঘাটে জন কোলাহল,
হাটুরে মাথায় বোঝা নদীচরে আসে সোজা
সব্জি বেচে বিক্রেতা সকল।
আসে রাঙাপথ ধরে কাঁখেতে কলসী করে
গাঁয়ের বধূরা দলে দলে,
কেহবা সিনান করে স্নান সারা হলে পরে
জল নিয়ে সবে ঘরে চলে।
অজয়ের নদীবাঁকে মহুলের বন থাকে বনে
কারা মাদল বাজায়,
মহুলের নেশা জাগে দেহে মনে রং লাগে
একসাথে নাচে আর গায়।
দূরে শালবন বামে সাঁঝের আঁধার নামে
ঝোপঝাড়ে জোনাকিরা জলে,
রাত কাটে ভোর হয় শীতল হাওয়া বয়
অজয় আপন বেগে চলে।