কতদিন বসন্ত আমায় ছুঁয়ে দেখেনা
কত নিশিরাতের চাঁদের আলো
আমার জন্য জোঁছনা বিলায় না!
ইন্দ্রীয় গুলো এক অলিখিত ঘোষণা পত্রে
চুক্তি বদ্ধ হয়ে অনুভূতির গোড়ায় ঝুলিয়েছে
প্রকাণ্ড এক তালা।
এখন আকাশের খসে পড়া তাঁরা গুলোও
ধেয়ে আসতে আসতে
আমার দিকে তাকিয়ে মিটি মিটি হাসে!


এখন আর হাসনাহেনার সৌরভেও
আমি বিমোহিত হইনা।
হলুদরঙা কাঠগোলাপের উপর পরে থাকা শিশির বিন্দুর সৌন্দর্য আমার দৃষ্টিকে
পুলকিত করেনা!
এখন অপরাজিতার নীলও আমাকে আর কাছে টানেনা!
কারণ আমি এখন নিজেই নীলকণ্ঠ,
বেদনার সব নীল শুষে চিতার অগ্নিতে দগ্ধ হয়ে গলায় পরেছি বেদনার নীল হার।


এখন শ্বেতপাথর কিংবা ঝিনুকের ন্যাক্রে দিয়ে তৈরি মুক্তাও আমার কাছে মূল্যহীন,
কারণ আমি চড়া মূল্য চুকিয়ে
বেদনার রং দিয়ে দামী অলংকার তৈরির শিল্প আয়ত্ত করে ফেলেছি।
আমি এখন প্রবাহমান বিষাদের ঊর্মিমালা
যার স্পর্শ  অপরকে ছুঁয়ে যায় ঠিকই
কিন্তু শিহরন জাগায় না।