পৃথিবীকে আলোকিত করার
কি করুণ যুদ্ধ ঐ অস্তমিত সূর্যটার,
গোধূলির বুক চিড়ে যখন নামে ঘুটঘুটে অন্ধকার,
প্রকৃতির সমস্ত আলোকে রাহুর মতে করে ফেলে গ্রাস!
তখনও সূর্যটা হার না মেনে উঁকি দিতে চায়;
দূর ঐ দিগন্তে।


কিছুটা সময় স্তীমিত থাকার পর
আবারো পূর্ণ তেজে উদিত হয়, ঐ ভোরের মিত্র হয়ে।
তার দীপশিখা জ্বালিয়ে অন্ধকারের দাপটকে
দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে ফেলে,
কালোমায়ার বেড়াজাল হতে নিজেকে মুক্ত করে
তার দীপ্তিময় শিখায় ধরনীকে করে তোলে আলোকিত।

শুভসূচনা হয় একটা নতুন সকালের,
রচিত হয় একটা নতুন আলোর অধ্যায়।
তেমনি কিছু মানুষ তার জ্ঞানের দ্বীপশিখা জ্বালিয়ে
পৃথিবীকে করে তোলে কুসংস্কার মুক্ত।
ছড়িয়ে চলে দীপ্তি, জ্বল জ্বল করা হীরার মতো
জ্বলতে থাকে আমৃত্যু অবধি।


প্রজাপতির ডানার মতো হাজারো রং মিশিয়ে
তার স্বপ্নলোকের রঙে রাঙিয়ে তোলে
আরো বহু স্বপ্নবাজ মানুষের জীবন।
বহু দমকা হাওয়া বারবার করে চলে আঘাত
বহু কর্কশ শব্দ গর্জে আসে বারবার,
তবুও নির্দিধায় সূর্য শক্তির মতো দীপ্তিময় হয়ে
সে জ্বালিয়ে রাখে তার জ্ঞানের আলো,


দূর করে চলে বয়ে আসা যতো অশুভ অন্ধকার।
যেন ভুলেও না গ্রাস করে এ জগতের বুকে
অযাচিত কোন আঁধার।