নিকষ কালো অধ্যায়টার উপসংহার টানবো বলে  
সাদা পাতার উপর রং তুলির আঁচড় জড়িয়ে,
আরো রঙিন করে সাজাবো বলে;
নষ্ট প্রহর গুলোকে বাক্স বন্দীকরে
জমা রেখেছিলাম স্মৃতির এক কোণায়।
ধীরে ধীরে সেই বাক্সতে জমেছে ধূলো,
আর নষ্ট প্রহরের স্মৃতিতে পড়েছে জং।
কালের পরিক্রমায় বেমালুম সবই ভুলে
বেশতো প্রহর গুলো খুঁনসুটি কেটে
মেতেছিলো হই-হুল্লোড়ে।
আচানক একটা কলঙ্কিনী বাতাস
আমার দেহ ছুঁয়ে মনের ভেতর হয়ে
স্মৃতির কোষাগারে ঢিল মারতেই,
আচমকা সেই বাক্সটা গড়িয়ে
উন্মুক্ত করে দিলো দ্বার।
আর নষ্ট প্রহরেরা হুড়োহুড়ি করে
সাজানো আলপনাতে আঁচড় কেটে
মূহুর্তেই সব এলোমেলো করে,
সাজানো আলপনায় লাগিয়ে দিলো গ্রহণ।
আবারো নেমে এলো ঘোর আমাবস্যা
পূর্ণিমার আলো সেই অন্ধকার ভেদ করে  
পৌঁছাতে পৌঁছাতে জীবন প্রদীপের
তেল প্রায় ফুরোলো।
একটা সার্থক উপন্যাসের বদলে একটা
অসমাপ্ত ; অতৃপ্ত উপন্যাস এর
পাতা উন্মোচিত হতে না হতেই
আবারো ঘোর অন্ধকারে চারদিক ছেয়ে গেলো।