মগজের ভাঁজে ভাঁজে স্মৃতিরা যখন করে বসত,
অবাধ্য শব্দেরা তখন করে লুকোচুরি খেলা!
আবেগ গুলো নিঃশব্দে চোখ গড়িয়ে
মুক্তোর দানার মতো ঝরে করে লুটোপুটি,
অনাদরে অযত্নে আজ অনুভূতির গোড়ায়
ধরেছে জং; ধূলো জমেছে পূরনো সেই স্মৃতিতে।
ইন্দ্রিয় গুলো এতোদিনে এসে;
হতাশায় ডুব সাঁতার কেটে  
আবারো বিদ্যুৎ বেগে টাইম মেশিনে করে,
ফিরে যেতে চায় সেই  পূরনো অতীতে।
ফিরে যেতে চায় কয়েক শতাব্দী আগে,
চিরোচেনা তোমার সেই ছোট্ট শহরে।
মরা নদী পেরিয়ে খরস্রোতা হয়ে
আবারও ফিরে যেতে চাই দূর্লভ সেই অতীতে।
যে অতীত ছিলো মাতাল,
যেখানে  বীণার তার ছুঁয়ে ছন্দ তাল লয় সবই চলেছিলো সুরেলা ছন্দে ছন্দে।
যে অতীত ভাবেনি কখন  বীণার তার ছিড়ে
তাল লয় হারিয়ে কখনো হবে সুরের ছন্দপতন।
এরপর বহু ফাগুনী পূর্নিমা হয়েছে পার;
অশোক পলাশ শিমুলে রং লেগেছে বারবার,
কতো বসন্তের কালো কোকিল উঁকি মেরে
শিস দিয়েছে বহুবার,
তবুও আমি ভরা আমবস্যায়
চাতকের মতো ছিলাম অপেক্ষায়।
আর্তচিৎকারে ফুসে ফুসে কালোমেঘ গর্জে,
বর্ষা নেমেছে বারবার।
তবুও কেন জানি ভাসা হয়নি বসন্তের ঐ ভরা পূর্নিমায়।