সাত বসন্ত শেষে,
এক অমাবস্যায় শুনতে পেলাম
প্রেমিক বাঁশিওয়ালার বাঁশির সুর।
আমি কখনো তারে দেখিনি
তার বাড়িও চিনিনা;
শুধুমাত্র বাঁশির সুর শুনে মুগ্ধ
হয়েই, ভীষণ ভালোবেসে পেলেছি।


লোকমুখে শুনেছি,
কোনো এক পূর্নিমার রাত্রিকালীন,
প্রেমিক বাঁশিওয়ালা বাঁশিতে সুর তোলে।
সে নাকি অনন্তকাল,
এক বটবৃক্ষকে বন্ধু ভেবে মনের সমস্ত কথা
অহর্নিশি পাগলের মত মুরালি বাঁশিতে সুর তুলে,
মায়াবিনীর নাম ধরে ডাকতো।


আমি নয়টি বছর ধরে এখানে বসবাস করি
কই আমিতো কখনো শুনিনি,
অমন বাঁশির সুর।  
তবে হ্যাঁ, কালরাতে এমন মধুর বাঁশির সুর শুনে
মুগ্ধনয়ন বিহীন বাতায়ন খুলে,
চেয়েছিলাম ঐ দূর নীলিমার পানে।


কে যেন আমার ঘুমান্ত হৃদয়ে প্রদীপ জ্বেলে
অদ্ভুত কিছু রঙীন দৃশ্য এঁকে দিলো,
বীভৎস বাতাসে ভেসে আসা সুর
নিঃঝুম অন্ধকারে প্রেমিক বাঁশিওয়ালাকে
খুঁজে ফিরি এর অর্থ কি সে বোঝে না ?


____________মায়াবিনী___________