পঁচিশ বছর পর
দেখা হোলো তোমার সাথে,
তোমাকে দেখতেই কেনো যেনো
টনটন করে উঠিল শূন্য হ্নদয়,
জমাট হয়ে থাকা কষ্টের ছাপ  
মুছে গেলো নিমেষে।  
বহুমুখী দিবস রজনী কেঁটে গেলো,
অজান্তে অজস্র ফুল পা প্রিষ্ট হোলো,
আঁখি থেকে টলমল করে ঝরে যাওয়া
অশ্রুসিক্ত দেখে ও জানতে চাইবেনা
তুমি, আমি কেমন আছি।
আমার কথা নাহয় থাক,
দুকূল হারা স্বপ্ন ডিঙ্গার মাঝে
অনন্তকাল আঁখি থেকে ঝরে যাওয়া,
জলস্রোতের চিহ্ন বলে দেবে
আমি কেমন আছি।


তুমিহীনা স্বপ্নযাত্রা বঙ্গের পথে,
তোমার মত কেউ আমার ললাটে
দুহাত বুলিয়ে আদর করেনি।
তুমি ছাড়া দুদন্ড নিদ্রা দেবীর ছোঁয়া
পড়েনি কখনো চোক্ষু জুড়ে।
প্রতিটি রাত তন্দ্রাবিহীন স্বপ্নময়ী
মাখামাখি আঁখিপাতে,
বিষন্নতা খুঁড়ে খুঁড়ে মনটাকে করেছে
ব্যথিত বিষাদময় আকাশ,
ঐ দূরত্ব বলে দেবে আমি কেমন আছি।


শূন্যতা আঁকড়ে খাঁ খাঁ করে
বুকফাঁটা ক্লান্তিময় মরুর জমিন,
তা শুধু তোমার জন্য।
আমার নিঃশ্বাস আসা যাওয়া করে
তাও শুধু তোমার জন্য।
ক্লান্ত হয়ে তৃষ্ণায় তনুশ্রী যখন
বারবার হাহাকার করে
তোমায় ভেবে তৃষ্ণার্ত হ্নদয় তৃপ্তি পায়।


আজ কেনো সবকিছু তিক্ত লাগে  
নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছি আগের মত,
স্বপ্ন বিচলিত মায়ার জালে বন্দি থেকে
পঁচিশ বছর কেঁটে গেলো,
শুধু তোমার অপেক্ষায় মায়াবিনী ...?


_____মায়াবিনী_____