শামুক অদ্ভুত প্রাণী
যখন যেখানে যায়
বাড়ি-ঘর সাথে নিয়ে যায় !
মানুষে পারে না ।
পাখিদের বাসস্থানে কোনো মোহ নাই ;
ভবঘুরে সন্ন্যাসীর ও তাই ।
তবু , তাঁবু কিংবা গুহা –
রোদ জলে শিরস্ত্রাণ খোঁজে ।
সেদিন পুর্ব পাকিস্তান থেকে –
( হ্যাঁ রে বাবা ! ভুল বলি নাই !
বাংলা দেশ হয়নি তখনো !)
ছিন্নমূল যারা এসেছিল-শরণার্থী হ’য়ে -
যাদের এদেশী সব রিফুইজি বলে ,
যাদের হৃদয়ে আছে এখন ও বাঙাল-বসতি
সেই সব উড়ে-এসে-জুড়ে-বসা
হা-ঘরের দলে আমি ও ছিলাম ।
আজ দ্যাখো !
আমার ও
সল্টলেকে
ত্রিফলায় দেউটি সাজানো
সরণীর ধার ঘেঁষে
রূপোর মতন চকচকে স্টিলের পাঁচিল;
পাঁচিল পেরিয়ে পাবে
সবুজ উদ্যান –
সেখানে আকাশ ছোঁয়া -
তিনটে মানুষ আর এক সারমেয় --
চারটি প্রাণীর তরে চার তলা ঘর ।
তবু ও রাতের বেলা
চুপচাপ হ’য়ে গেলে সব
রাস্তার প্রাণীদের সাথে
পরাণ ও কেন যেন কাঁদে !
একবার
শুধু একবার
বাংলাদেশে যাবো
শামুকখোল পাখিটির খোঁজে নয়
ফেলে আসা শামুকের খোলটির খোঁজে ...।।