যখন ই লিখতে বসি,
যা কিছু লিখতে যাই
যতসব গত কবিদের
অতৃপ্ত আত্মারা
ভর করে আমার মাথায়।
আমার ই মুখে তারা
তাদের ই কথা গুলো কয় ।
কলমের কালি চুষে খেয়ে
ভেদবমি করে খাতার পাতায় ।
পাতার উপর বসে প্রাতঃকৃত্য করে
নির্লজ্জের মতো
আমি চেটে পুটে খেয়ে মুখ মুছি ।


আমি দুর্বিনীত ভুত হয়ে যাই !
থু থু দিই মুখের উপর ,
পুরোহিত ভয়েই পালায় ।


সেই সব মৃত লেখকেরা
যা করায় ,
আমি তাই করি ।
যা বলায় তাই বলি ।
কখনো তুষার আসে , সুভাষ সুনীল
শক্তি ,তারাপদ আসে জীবনানন্দ ও ।
বিষ্ণু ও সুধীন দত্ত কখনো কখনো ।
কল্লোলের থেকে আসে অচিন্ত্য প্রেমেন--
ভুষুন্ডির মাঠ থেকে -
কত শত কবরের থেকে -
হাংরি জেনারেশান !
মাটি ফুঁড়ে উঠে আসে তারা ।
শতভিষা কৃত্তিবাস নিকটে শ্মশান !
ভয়ে জড়সড় থাকি
আজকাল তেনাদের বড়ো উৎপাত !!


এ হেন তাদের ব্যবহারে
বেশ ক্ষুব্ধ হই ।
কিন্তু পরবশ !!
কখনো বা মনে জোর এনে
নিজেই আবার হয়ে যাই এগজরসিস্ট !
ভুতের রোজার মত কত মন্ত্র পড়ি
ভুত তাড়ানোর ।
তবু সেই তাহাদের ' বোধ '
মাথার ভিতর ঘোরে
নীল ডুমো মাছির মতন ।