চল্লিশ ছাড়িয়ে গেছে সেলসিয়াস
জ্যৈষ্ঠের জ্বলন্ত দুপুরে
কলকাতার পাড়াতুতো রাস্তারা
কার জানি কি আদরে গলে গলে পড়ে !
জ্যৈষ্ঠের একটা অদ্ভুত সুর আছে --
আর সেটা জানে ,
প্রতিবেশীদের রোদে-জ্বলা ছাদে চরা
ভীষণ নিরীহ দুই ঘুঘু ।
তারা একমনে কী সব খুঁটে খাচ্ছিল ।
কি পায় ওখানে ?
কোন দেনেবালার সে নাম
লেখা আছে খানেবালা ঘুঘুদের
দানায় দানায়
সে টা ঐ ঘুঘুরাই জানে ।
আর ,
সেই সুর জানে
ছাপড়ার নিরপত রাম –
গান্ধার ধৈবত মিশিয়ে
দুপুরের রোদে হেঁকে যায় ,
শি ই ইল …কাটাও !! শি ই ইল …কাটাও !!
কেউ যদি চাও
পাথরের বুকে সে
এঁকে দিতে পারে ছেনির আঁচড়ে বুনো ফুল ।
চট পেতে দাও চার ভাঁজ করে
চিত করে শিলকে শুইয়ে দাও
বুকের উপর তার
চলুক খুব লৌহ প্রহার ।
থামাও , থামাও নিরপত !
থামাও তোমার ওই প্রচণ্ড হাতুড়ি !!
পাথর কাঁদেনা ঠিক ই !!
তাই বলে ,
মাসিদের প্রশ্রয়ে শুধু
আমাদের শিলটিকে এখন ই
ঘর্ষনের উপযোগী করে দেবে ?
সাত চড়ে যতদূর জানি ,
আমাদের শিলটি তো
কক্ষনো রা টি কাড়ে নি।